
নন্দীগ্রাম: ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আর সেই ভোট ঘিরে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রামের রাজনীতি। গত বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে কঠিন লড়াই দেখেছে এই নন্দীগ্রাম। এবার নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও শুরু হয়ে গেল আলোচনা। দুই প্রতিপক্ষের তরফ থেকে কোনও বার্তা না এলেও তাঁদের অনুগামীরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে লোডশেডিং করে নাকি কারচুপি করা হয়েছে ভোটে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। কিন্তু সেই মামলার ভবিষ্যৎ কী, তা জানা না থাকলেও, তার আগেই নতুন করে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন একটাই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কি আবারও নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন?
তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বৃহস্পতিবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন, গোপন সূত্রে তিনি নাকি খবর পেয়েছেন ২০২৬-এর নির্বাচনেও মমতা নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন। প্রলয় পাল তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, ‘বিশেষ সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২৬ -এর নির্বাচনে পুনরায় নন্দীগ্রাম থেকে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।’ একই সঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, বিজেপি এবারও হারাবে।
বিজেপির এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা যথাসময়ে দলের নেতৃত্ব এবং কর্মীরা জানতে পারবেন।” তবে তিনি নিশ্চিত, শুভেন্দু অধিকারী এবার আর নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন না। বাপ্পাদিত্য গর্গ একাধিক তথ্য তুলে ধরে এই দাবি প্রমাণ করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর নিজের বুথ নন্দনায়েকবাড়ের শেষ কো-অপারেটিভ নির্বাচনে তৃণমূল জিতেছে এবং বিজেপি হেরেছে। লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর অঞ্চলের ভোটাররা তৃণমূলকে ৪১২টি ভোট বেশি দিয়েছেন। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীর পঞ্চায়েত সমিতির ভোটাররাও লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ২৫০০ ভোটের লিড দিয়েছেন।’