Fraud Case: প্রতারণার অভিযোগে পার্থ ঘনিষ্ঠের স্ত্রীকে স্কুল থেকে গ্রেফতার করল তমলুক থানার পুলিশ

Kolaghat: কোলাঘাটের কোলা গ্রামের বাসিন্দা অতনু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। স্ত্রী মানসীও পার্থর এক সময়ের 'ঘনিষ্ঠ' ছিলেন বলেও এলাকায় জোরাল গুঞ্জন রয়েছে।

Fraud Case: প্রতারণার অভিযোগে পার্থ ঘনিষ্ঠের স্ত্রীকে স্কুল থেকে গ্রেফতার করল তমলুক থানার পুলিশ
মানসী গুছাইত (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 10:35 PM

তমলুক: গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের স্ত্রী। আর্থিক প্রতারণার দায়ে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হন অতনু গুছাইতের স্ত্রী মানসী গুছাইত। এর আগে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁর স্বামী অতনু গুছাইতের বিরুদ্ধে। তবে মঙ্গলবার স্ত্রী মানসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ি বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণার একটি মামলায় তাঁকে তমলুক থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

কোলাঘাটের কোলা গ্রামের বাসিন্দা অতনু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। স্ত্রী মানসীও পার্থর এক সময়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন বলেও এলাকায় জোরাল গুঞ্জন রয়েছে। পুলিশ পাঁশকুড়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রানিহাটি হাইস্কুল থেকে এ দিন মানসীকে গ্রেফতার করে। তিনি ওই স্কুলেরই বর্তমান ইতিহাসের শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে মানসী রানিহাটি হাইস্কুলে যোগ দিয়েছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২১ সালে অতনু তাঁর কোলাঘাটের বাড়িটি বিক্রি করবেন বলে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাঁপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা হোটেল ব্যবসায়ী বিকাশ বেরার সঙ্গে কথা বলেন। সেই মতো ওই বছর নভেম্বরে বিকাশ অতনুকে ৫০ লক্ষ টাকা দেন বলে দাবিও করেন। এরপরও অতনু বিকাশকে বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে দেননি। পরে বিকাশ জানতে পারেন একটি সমবায় ব্যাঙ্কে অতনুর বাড়িটি বন্ধক রয়েছে। অতনু ওই তথ্য গোপন রেখেছিলেন বিকাশের কাছে। তখন বিকাশ বাড়ি বিক্রির টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অতনুকে চাপ দেন। চলতি বছরের গোড়ায় অতনু এবং তাঁর ভাই শান্তনু দুজনের নামে মোট ৫০ লক্ষ টাকার চারটি চেক বিকাশকে দিয়েছিলেন। এই চেকগুলি আবার বাউন্স করে।

জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১১টার সময় স্কুল চত্বর ঘিরে ফেলে তমলুকের পুলিশ। স্কুল শেষের পরে পুলিশ মানসীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, আজ ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হবে। শিক্ষিকার গ্রেফতারির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্কুল চত্বরে জড়ো হন এলাকাবাসী। মানসী এবং অতনুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

অপরদিকে, বিকাশ বাবুর দাবি, টাকা চাইলে অতনু এবং শান্তনু একদিন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। খুনেরও হুমকি দেন। এ বিষয়ে বিকাশ তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ জানালেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ। তখন তমলুক আদালতে অতনু, তাঁর ভাই শান্তনু, অতনুর মা মিত্রা এবং স্ত্রী মানসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন বিকাশ। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু অতনু এবং তাঁর পরিবারের পলাতক।

এই বিষয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগকারী বিকাশ বেরা বলেন, ‘অতনু গুছাইত নিজের বাড়ি বিক্রির জন্য আমার থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তারপর দেখি বাড়ি বিক্রিই করছে না। এদিকে আমার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এরপর শুনি ব্যাঙ্কের কাছেই বন্ধক রয়েছে বাড়িটির। এরপর ব্যাঙ্কের কাগজপত্র নিয়ে এসে দেখি আমার সঙ্গে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছে।’