
পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপিকে ভোট দিলে ময়নার মত নন্দীগ্রামেও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে। সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূল নেত্রী ও গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যার এমন পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা উনি বলেছেন, সেটা বোঝা দরকার, অস্বস্তি এড়াতে সাফাই তৃণমূল জেলা নেতৃত্বর। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই নেতার এহেন বক্তব্যে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি পরিচালিত দুই গ্রাম পঞ্চায়েত বাকচা ও গজিনা এলাকায় গত তিনমাস ধরে এলাকার মহিলা রাজ্য সরকারের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
প্রতিবাদে ময়না বিডিও অফিসে বিজেপির বিক্ষোভ হয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আদায়ে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এবার তারই বিধানসভা এলাকাতে বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার গলায়। নন্দীগ্রাম দু নম্বর ব্লকের বয়াল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা তথা নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের যুবতৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অষ্টমী গিরি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন “ময়না বিধানসভা যেমন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার, ঠিক তেমন নন্দীগ্রামেও হবে বিজেপিকে ভোট দিলে”।
আর এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে নিজের বক্তব্যে অনড় তৃণমূল নেত্রী ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অষ্টমী গিরি। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভাব অনটন বুঝতে না দিয়ে সমস্ত প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, “আমার বলার উদ্দেশ্য, নন্দীগ্রামের মানুষ তার অভাবটা বুঝতে পারুন।”
আর এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। পালটা জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। (বিজেপি নন্দীগ্রাম মন্ডল ৪ এর সভাপতি সৌমিত্র দে বলেন, “তৃণমূল ভেবেছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার নামক ললিপপ ধরিয়ে দিয়ে জিতবে। নন্দীগ্রামের মানুষ অনেক সচেতন। তাঁরা ললিপপ ছুড়ে ফেলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা সেটাই করে দেখাবেন।”