পূর্ব মেদিনীপুর : অশান্তির কথা জানতে পেরেছিল বাপের বাড়ির লোকজনও। বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়ের এমন পরিণতি হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই। সাত মাসের কন্যাসন্তানকেও খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সোনম খাতুন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রতিবেশী খবর পেয়ে ছুটে এসে সোনমের স্বামীকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। কোনও ক্রমে উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের সোনম খাতুন (২৩)-এর সঙ্গে ২ বছর আগে বিয়ে হয় মহিষাদলের লক্ষা ১ নম্বর গ্রামের চক গাজীপুরের বাসিন্দা শেখ সলমনের। সাত মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সোনম খাতুনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন যায় মেয়ের বাবা মঈনুদ্দিন আলির কাছে। তাঁকে বলা হয় কন্যা সন্তান সহ আত্মহত্যা করেছেন সোনম। খবর পেয়েই ছুটে যান সোনমের পরিবারের লোকজন। গিয়ে দেখেন, কন্যাসন্তান সহ মেয়ের মৃতদেহ শোয়ানো রয়েছে।
মৃতার বাবা মইনুদ্দিন আলির অভিযোগ, তাঁর জামাইয়ের সঙ্গে তাঁর বউদির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সে কথা তাঁর মেয়ে জানতে পেরে যাওয়াতেই তাঁর মেয়েকে খুন হতে হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই অবৈধ সম্পর্কের কথা তাঁরা কিছুদিন আগেই জানতে পেরেছেন। মেয়ে ও নাতনির মৃত্য়ুর পরই তাঁরা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতার বাবা বলেন, বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি চলছিল অনেক দিন ধরেই। সেই বৌদি, শাশুড়ি আর ননদ মিলেই খুনের পরিকল্পনা করেছে।
মহিষাদল থানার পুলিশ মৃতার স্বামী সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে বলেই খবর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছুটে যান এলাকাবাসী। গণধোলাই দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।