Khejuri: ‘উন্নয়নের’ জোয়ারে গা ভাসাতে বিজেপি ছাড়লেন খেজুরির লড়াকু নেত্রী

Kanishka Maity | Edited By: Soumya Saha

Sep 29, 2023 | 11:35 PM

TMC: পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলা মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ, এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন বুলুরানী। সদ্য বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে আসা ওই নেত্রীর দাবি, বিজেপিতে থেকে তিনি উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না, তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

Khejuri: উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসাতে বিজেপি ছাড়লেন খেজুরির লড়াকু নেত্রী
খেজুরিতে তৃণমূলে যোগদান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

খেজুরি: ‘উন্নয়নের’ জোয়ারে সামিল হতে এবার বিজেপি ছাড়লেন খেজুরি লড়াকু নেত্রী। পদ্ম ছেড়ে এবার ঘাসফুলে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য বুলুরানি করণ। শুক্রবার বিকেলে তমলুকের উত্তর সোনামুইতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শাসক দলে যোগ দেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলা মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ, এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন বুলুরানি। বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে আসা ওই নেত্রীর দাবি, বিজেপিতে থেকে তিনি উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না, তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদে মোট ৭০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ৫৬টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছিল ১৪টি আসন। এর মধ্যে খেজুরি বিধানসভা এলাকায় মোট চারটি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় শিবিরই পেয়েছিল দুটি করে আসন। বিজেপির দু’জনের মধ্যে একজন ছিলেন বুলুরানি। তবে আজ তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর খেজুরি এলাকায় জেলা পরিষদে কমল বিজেপির শক্তি। জেলা পরিষদের আসনের ভিত্তিতে খেজুরি এলাকায় তৃণমূলের শক্তি বেড়ে হল তিন, আর বিজেপির রইল মাত্র এক।

বুলুরানি করণ বলছেন, ‘এক হাঁটু জল রাস্তার উপরে জমে রয়েছে। যখন ভোট চাইতে গিয়েছিলাম, তখনই মানুষকে বলেছিলাম ভোটে জিতলে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। যাতে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি, সেই জন্যই তৃণমূলে যোগ দিলাম।’

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানাচ্ছেন, “কাউকে দলে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জেতার পর উনি যখন মানুষের কাছে গেলেন, তখন বুঝতে পারেন বিজেপিতে থেকে মানুষের উন্নয়ন করতে পারবেন না।”

যদিও বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য বিজেপিতে নেতা নয়, কর্মীরাই আসল।

Next Article