Jhalda Municipality: ঝালদা পুরবোর্ড গঠনের আগে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ, স্বস্তিতে পূর্ণিমা কান্দু

Jhalda Municipality: তিনি বলেন. "হাইকোর্টের ওপর আমাদের আস্থা ছিল। সুষ্ঠভাবে বোর্ড গঠন হবে। মানুষের হয়ে কাজ করবে নতুন বোর্ড। "

Jhalda Municipality: ঝালদা পুরবোর্ড গঠনের আগে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ, স্বস্তিতে পূর্ণিমা কান্দু
হাইকোর্টের রক্ষাকবচ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 1:41 PM

পুরুলিয়া: শনিবার ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন। তার আগে স্বস্তিতে ঝালদার কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। বিরোধী কাউন্সিলরদের নানা অভিযোগে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই অভিযোগ করে রক্ষাকবচ চেয়ে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে স্বস্তিতে পূর্ণিমা কান্দু। তিনি বলেন. “হাইকোর্টের ওপর আমাদের আস্থা ছিল। সুষ্ঠভাবে বোর্ড গঠন হবে। মানুষের হয়ে কাজ করবে নতুন বোর্ড। ”

প্রসঙ্গত, শনিবার রয়েছে ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হবে, সভা করবে কংগ্রেস। তার আগে হাইকোর্টের এই নির্দেশ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। থাকবেন নির্দল দলের কাউন্সিলররাও।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর থেকেই ঝালদা পৌরসভার অবস্থা টালমাটাল ছিল। ৮ মাস আগে ঝালদা পৌরসভার নির্বাচনের ফল হয় ত্রিশঙ্কু। মোট ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেস পাঁচটি করে আসন পায়। নির্দলের ঝুলিতে যায় ২টি। ম্যাজিক ফিগারের জন্য উভয়ের প্রয়োজন ছিল নির্দলের সমর্থন। নির্দল সমর্থন করে তৃণমূলকে। ২ নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলকে সমর্থন করায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১৩ তারিখে ঝালদার পুরসভার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর অর্থাৎ মোট ছ’জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। আগে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল।

বর্তমান যা অবস্থা, তাতে ১২টি আসনের মধ্যে পাঁচটা তৃণমূল, পাঁচটা কংগ্রেস আর ২ জন নির্দল কাউন্সিলর, যাঁরা কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। আস্থা ভোটে তৃণমূলকে ছাপিয়ে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে আশঙ্কা ছিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বোর্ড গঠনের আগে কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। সেই কারণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস।