CBI On Jhalda Councillor Murder: কাউন্সিলর খুনের তদন্তে ঝালদায় সিবিআই, তৈরি হল অস্থায়ী ক্যাম্প
CBI On Jhalda Councillor Murder: তপন কান্দুর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই।
পুরুলিয়া: নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তে ঝালদায় পৌঁছয় সিবিআই টিম। ঝালদায় কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করল সিবিআই। ঝালদায় বন দফতরের বাংলোয় তৈরি করা হল অস্থায়ী ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার তপন কান্দুর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে দলটি এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন। সিবিআই-এর এই বিশেষ দলটির নজরদারিতে রয়েছেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। বুধবারই জেলা পুলিশের থেকে কেস ডাইরি ও তদন্তের সব নথি হাতে নেয় সিবিআই। এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর গত মঙ্গলবারই জেলা পুলিশের কাছ থেকে মামলার এফআইআর কপি-সহ অনান্য নথি হাতে নেন তদন্তকারীরা। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিবিআই গোয়েন্দারা ঝালদা থানায় পৌঁছন। কেস ডায়েরি নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এই কেস সংক্রান্ত অনান্য নথি সংগ্রহ করেন তাঁরা। বগটুইয়ের মতোই সিবিআই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে। এখান থেকেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আদালতে আবেদন জানাবে সিবিআই। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটরকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি সিবিআই-এর হয়ে আদালতে সওয়াল করবেন।
সিবিআই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য। তার আগেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার মুখেই এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার ভোররাতে এই দেহ উদ্ধারের ঘটনা গোটা তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। নিরঞ্জনের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে উল্লেখ রয়েছে, পুলিশি চাপ, হেনস্থার কথা। মানসিক যন্ত্রণা থেকেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য রহস্য থাকতে পারে বলেও মনে করছেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি এই মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
পূর্ণিমার কথায়, “নিরঞ্জনের মৃত্যু একটা রহস্য। একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে পুলিশের চাপের কথা উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ শাসকদলের হয়েই তো কাজ করছে। সঠিক তদন্ত এক্ষেত্রেও হওয়া উচিত।” সিবিআই তদন্তকারীরা এই বিষয়টির খোঁজ খবর করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘সিবিআই যোগাযোগ করলে তদন্তে সাহায্য করব’, অনুব্রত ইস্যুতে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ
আরও পড়ুন: ‘ওঁ আমার ভবিষ্যৎবাণীকে ঠিক করে দিয়েছেন’, অনুব্রত প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত