Purulia Station Video: হাত ফসকেই বিপত্তি পুরুলিয়া স্টেশনে, যাত্রীকে প্লাটফর্মের সঙ্গে ঘষে-হিঁচড়ে নিয়ে ছুটল দূরপাল্লার ট্রেন
Purulia Railway Station: ট্রেনের কামরার গেটের হাতলও ধরে ফেলেছিলেন। কিন্তু পা ঠিকঠাক রাখতে পারলেন না কামরায়। হাত ফসকে পড়ে যান। এক্সপ্রেস ট্রেন ওই ব্যক্তিকে নিয়েই ছুটল প্রায় পঞ্চাশ মিটার। ট্রেনের কামরার হাতল ধরে প্লাটফর্মের সঙ্গে ঘষে-হিঁচড়ে যেতে থাকলেন তিনি।
পুরুলিয়া: ট্রেন প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে দিয়েছিল। এক্সপ্রেস ট্রেন হওয়ায় গতিও বেশ ভালই ধরে নিয়েছিল। আর সেই সময়েই ছুটে এসে এক ব্যক্তি চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। ট্রেনের কামরার গেটের হাতলও ধরে ফেলেছিলেন। কিন্তু পা ঠিকঠাক রাখতে পারলেন না কামরায়। হাত ফসকে পড়ে যান। এক্সপ্রেস ট্রেন ওই ব্যক্তিকে নিয়েই ছুটল প্রায় পঞ্চাশ মিটার। ট্রেনের কামরার হাতল ধরে প্লাটফর্মের সঙ্গে ঘষে-হিঁচড়ে যেতে থাকলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত প্লাটফর্মে থাকা বাকি লোকজন এবং আরপিএফ কর্মীর তৎপরতায় ট্রেনটিকে থামানো সম্ভব হয়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া স্টেশনে (Purulia Station)। প্লাটফর্মে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা যাচ্ছে ওই যাত্রীর নাম মহম্মদ সাজিদ। তিনি জামশেদপুরের মানগোর এলাকার বাসিন্দা। আসানসোলে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। পুরুলিয়া স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মে সেই সময় দাঁড়িয়ে ছিল টাটা-দানাপুর এক্সপ্রেস। পুরুলিয়া স্টেশনে তিনি নেমেছিলেন কিন্তু এরই মধ্যে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। ছুটে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। সিসিটিভিতে পাওয়া ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে চমকে উঠতে হয়।
আকস্মিক এই অঘটনের পর প্লাটফর্মে থাকা অপর যাত্রীরা এবং আরপিএফ কর্মীরা ট্রেনটিকে থামানোর জন্য বার বার ইশারা করেন গার্ডকে ট্রেনটি থামানোর জন্য বলেন। একসঙ্গে এত যাত্রীর হাত নাড়ানো দেখে এবং আরপিএফ কর্মীকেও হাত নাড়াতে দেখে ট্রেনটি সঙ্গে সঙ্গে থামানো হয়। এই যাত্রায় প্রাণে বাঁচলেন জামশেদপুরের মহম্মদ সাজিদ। সাক্ষাৎ যমদূত যেন এদিন তাঁর সামনে এসে হাজির হয়েছিল। কিন্তু সকলের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত প্রাণে বাঁচলেন তিনি। আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে সেই সময় প্লাটফর্ম ডিউটিতে ছিলেন অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর একে পান্ডে, সি এম প্রসাদ এবং কনস্টেবল পল্লবী বিশ্বাস এবং এম পাল।