AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purulia: ২ মাসের পুত্রকে মাথার উপর ঘুরিয়ে আছাড় বাবার, নৃশংসতায় হতবাক আদালতও

10 years imprisonment: ঘটনার দিন সাগরের স্ত্রী নেহারি রুহিদাস তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বাপের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। সাগর রুহিদাস তখন বলেছিলেন, ২ মাসের শিশুপুত্রকে তিনি নিয়ে যেতে দেবেন না। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। স্বামীর আপত্তি উপেক্ষা করে বাপের বাড়ি যেতে চান নেহারি।

Purulia: ২ মাসের পুত্রকে মাথার উপর ঘুরিয়ে আছাড় বাবার, নৃশংসতায় হতবাক আদালতও
১০ বছরের কারাদণ্ড হল দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তিরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2025 | 9:37 AM
Share

পুরুলিয়া: নৃশংস। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলার সময় নিজের ২ মাসের শিশুপুত্রকে মাথার উপর ঘুরিয়ে আছাড়া বাবার। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় শিশুর। ঘটনার কথা শুনে হতবাক আদালত। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিলেন পুরুলিয়া  জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক থার্ড কোর্ট অম্বরীশ ঘোষ। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সাগর রুহিদাস।  

পুরুলিয়া জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী অমিয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২ মাসের শিশুকে খুনের ঘটেছিল ২০২২ সালের ৪ অগস্ট। সাজাপ্রাপ্ত সাগরের বাড়ি পুরুলিয়ার টামনা থানার ডুরকু গ্রামে। ঘটনার দিন সাগরের স্ত্রী নেহারি রুহিদাস তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বাপের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। সাগর রুহিদাস তখন বলেছিলেন, ২ মাসের শিশুপুত্রকে তিনি নিয়ে যেতে দেবেন না। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। স্বামীর আপত্তি উপেক্ষা করে বাপের বাড়ি যেতে চান নেহারি। অভিযোগ, সাগর তখন নেহারির কোল থেকে ২ মাসের শিশুপুত্রকে ছিনিয়ে নেন। তারপর মাথার উপর ঘুরিয়ে মাটিতে আছাড় মারেন। ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

স্বামীর বিরুদ্ধে টামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নেহারি। অভিযোগে ভিত্তিতে সাগর রুহিদাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকেই অভিযুক্ত জেলেই ছিলেন। সরকারি আইনজীবী অমিয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার নৃশংসতার কথা শুনে বিচারকও হতবাক হয়ে যান। ২ মাসের কার্যত মাংসপিণ্ডকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আছাড় মারেন। বিচারক আরও বলেন, যিনি ২ মাসের শিশুকে মারতে পারেন, তিনি কী না করতে পারেন। তাই, সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে কোনও জরিমানা করেননি। অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে কোনওভাবেই জামিন পেতে না পারেন, সরকারি আইনজীবী হিসেবে সেই চেষ্টা করেছিলাম।”