
পুরুলিয়া: বাড়িতেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুড়োল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন। খুনের দায়ে তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনালেন বিচারক। তারপরও নির্বিকার দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার এই ছবি দেখা গেল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে। দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তির নাম গৌতম মাহাতো। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুনের দায়ে তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনালেন রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়।
খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল বছর তিনেক আগে। সাজাপ্রাপ্ত গৌতমের বাড়ি কাশীপুর থানার রাঙাডি গ্রামে। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ জাকির আনসারি বলেন, “২০২২ সালের ২৭ মার্চ রাতে স্ত্রী মমতা মাহাতো ও এক ছেলে ও এক মেয়েকে কুড়োল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। গ্রেফতারের পর থেকে পুলিশি হেফাজতেই ছিলেন গৌতম। এদিন সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।”
কিন্তু, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নৃশংসভাবে কেন খুন করলেন গৌতম? সরকারি আইনজীবী বলেন, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আগে মাদক সেবন করতেন গৌতম। সেখান থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এদিন সাজা ঘোষণার পর পুলিশ গৌতমকে আদালতের বাইরে নিয়ে আসার পর সাংবাদিকরা একের পর এক প্রশ্ন করেন। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি সাজাপ্রাপ্ত এই ব্যক্তি। কিছুটা ভাবলেশহীন দেখায় তাঁকে। সরকারি আইনজীবী বলেন, “এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা হিসেবে দেখেছেন বিচারক। এই ধরনের সাজা হলে সমাজে ভাল বার্তা যাবে। এই ধরনের নৃশংস কাজের থেকে মানুষ বিরত থাকবেন।”