
পুরুলিয়া: ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেনে কয়েকজন তাঁর ব্যাগ দেখতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। অবশেষে পুরুলিয়ার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল ওড়িশায়। মৃতের নাম রমেশ মাঝি। ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। দেহ গ্রামে নিয়ে আসতে সাহায্যের জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জিও জানিয়েছে।
রমেশ মাঝির বাড়ি পুরুলিয়ার মানবাজার থানার প্রতাপপুর গ্রামে। দেড় বছর আগে গোয়ায় একটি ঠিকা সংস্থার অধীনে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কালীপুজো ও বাঁধনা উৎসব উপলক্ষে গোয়া থেকে ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে শেষবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় পরিবারের। রমেশ ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, ট্রেনে কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁর ব্যাগ দেখতে চেয়েছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তারপর থেকে রমেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। এর কয়েকদিন পর ওড়িশার কটক থেকে রমেশের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। কটক স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি কুয়ো থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
রমেশের বাবা মঙ্গল মাঝি বলেন, “সোমবার দুপুরে আমার ছেলে তার মেজ দাদার সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা বলেছিল। তারপর আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আজ বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডুর স্বামী আমাদের এসে এই খবর দেন।” বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁরা বুঝতে পারছেন না, ট্রেন থেকে কীভাবে রমেশ সেখানে গেলেন। ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে রমেশের পরিবার। ছেলের দেহ গ্রামে আনতে ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাজে আর্জি জানান মঙ্গল মাঝি। জানা গিয়েছে, মানবাজার থানার পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যে ওড়িশা রওনা দিয়েছে।