AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purulia: মরেও শান্তি নেই! এক মাসের মধ্যেই কবর খুঁড়ে তোলা হল মহিলার দেহ

Purulia: মৃতের পরিবার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইমামের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ওই জায়গায় কবর দেওয়া হয়। গত কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার এই কবরস্থান পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল। প্রশ্ন উঠেছে, যদি এটি কবরস্থান না হয়ে থাকে তাহলে সরকার কেন অর্থ বরাদ্দ করেছিল? পাল্টা আদালতেলর দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলছেন ইমাম।

Purulia: মরেও শান্তি নেই! এক মাসের মধ্যেই কবর খুঁড়ে তোলা হল মহিলার দেহ
ঘটনাস্থলে ছিল পুলিশ বাহিনীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2025 | 1:36 PM
Share

পুরুলিয়া: এ যেন মরেও শান্তি নেই! সাত সকালে শুরু হল কবর খোঁড়ার কাজ। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে মহিলার দেহ কবর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল অন্যত্র। ফের কবর দেওয়া হল আর একটি জমিতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই দেহ সরানো হয়েছে পুরুলিয়ার চকদা এলাকায়। জমি জটিলতার কারণেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

মূলত যে জমিতে এই কবর দেওয়া হয়েছিল, সেই জমির মালিক একটি আশ্রম সংস্থার। বেশ কয়েক বছর আগে এই জমিটি কেনেন তিনি। স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই মৃতদেহ কবর দিয়ে আসছিলেন ওই জায়গায়। তারপর এই জমিতে কবর দিতে নিষেধ করে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা সেই নিষেধ না মেনে একমাস আগে এক মহিলার মৃতদেহ কবর দেয়।

ওই ঘটনার পর আশ্রম কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। সেখান থেকে কোনও সুরাহা না হওয়ায়, আদালতের দ্বারস্থ হয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ। নিম্ন আদালতের নির্দেশ না মানায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ। এরপর হাইকোর্ট মৃতদেহ সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসনকে। সেই মতো উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার সকালে হাইকোর্টের একজন প্রতিনিধি ও পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। উপস্থিত ছিল মৃতের পরিবার।

মৃতের পরিবার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইমামের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ওই জায়গায় কবর দেওয়া হয়। গত কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার এই কবরস্থান পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল। প্রশ্ন উঠেছে, যদি এটি কবরস্থান না হয়ে থাকে তাহলে সরকার কেন অর্থ বরাদ্দ করেছিল? পাল্টা আদালতেলর দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলছেন ইমাম।

সম্পূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে চাকদহ এলাকায়। আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, পুলিশ প্রশাসন আগেই ব্যবস্থা নিলে এতদূর যেতে হত না। বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।