Purulia: ২ বছর আগেই এসেছে ‘নির্মল গ্রামের’ ট্যাগ! সবার বাড়িতে শৌচালয় থাকলেও এই গ্রামে এখনও ভরসা খোলা আকাশই

Purulia: পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ১০-১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই গ্রাম। আজ থেকে প্রায় দু’বছর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল নির্মল গ্রাম হিসাবে। প্রশাসনের তরফে বাড়িতে বাড়িতে শৌচালয়ও তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।

Purulia: ২ বছর আগেই এসেছে ‘নির্মল গ্রামের’ ট্যাগ! সবার বাড়িতে শৌচালয় থাকলেও এই গ্রামে এখনও ভরসা খোলা আকাশই
চাপানউতোর আশপাশের গ্রামেওImage Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 24, 2025 | 8:41 PM

পুরুলিয়া: খাতায়-কলমে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্মল গ্রামের। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সেটা লিখিতভাবে ঘোষণাও করে দিয়েছেন। গ্রামে সকলের বাড়িতে শৌচালয়ও রয়েছে। কিন্তু তাতে কী! বাস্তব চিত্র একেবারে আলাদা পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগুডি গ্রামে। কিন্তু গ্রামে গেলেই অবাক হবেন আপনি! ছোট থেকে বড়, সকলেই স্বীকার করছেন তাঁরা কেউই শৌচাগার ব্যবহার করেন না। আগের মতোই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান প্রকৃতির কোলে, খোলা আকাশের নিচে। 

পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ১০-১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই গ্রাম। আজ থেকে প্রায় দু’বছর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল নির্মল গ্রাম হিসাবে। প্রশাসনের তরফে বাড়িতে বাড়িতে শৌচালয়ও তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, গ্রামে গিয়ে দেখা যাচ্ছে শৌচালয়ে কেউ রাখেন ঘুঁটে, কেউ আবার রাখেন কাঠ, কেউ বালি, কেউ আবার রাখছেন অপ্রয়োজনীয় সব সামগ্রী। 

গ্রামের লোকজন যদিও বলছেন যে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল তা কোনওমতেই ব্যবহার করা যায় না। তাই দিনের শেষে ভরসা খোলা আকাশ। গ্রামের এক বাসিন্দা বলছেন, “শৌচালয়ের যা অবস্থাতে সেখানে শৌচকর্ম করা যায় না। জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই সবাই মাঠেই যায়। আর তাছাড়াও সব মিলিয়ে গ্রামের অবস্থা, মানসিকতা বদলাতে অনেকটা সময় লাগবে।”