পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম: দাবি অনেক দিনের। কিন্তু অভিযোগ, তাতে কর্ণপাত করেনি সরকার। আর সে কারণেই ফের আন্দোলনে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা (Kurmi Protest)। ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে (Jangalmahal) শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের অবরোধ কর্মসূচি। ডাক দেওয়া হয়েছে রেল অবরোধেরও। তাতেই স্তব্ধ হতে চলেছে রেল। বড় প্রভাব পড়তে চলেছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার খড়গপুর ডিভিশনের খড়গপুর আদ্রা লাইনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল (Train Cancel)। ঘুরপথে চলছে বেশ কিছু ট্রেন। ইতিমধ্যেই রেলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানানো হয়েছে।
বুধবার ভোর থেকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন এবং সংলগ্ন ৫ নং রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু করার কথা রয়েছে আদিবাসী কুড়মি সমাজের মানুষদের। আদিবাসী কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের এই অবরোধ কর্মসূচি। কুড়মিদের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো বলেন, গত সেপ্টেম্বরেও তাঁরা একইভাবে অবরোধ শুরু করেছিলেন। সে সময় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিআরআই রিপোর্ট সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর অঙ্গীকার করা হয়। এই আশ্বাস পেয়ে পাঁচ দিনের মাথায় রেল অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সংশোধিত সিআরআই রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পাঠানো হয়নি। কুড়মিদের অভিযোগ, এ কারণেই তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তফশিলি উপজাতির তকমা পাচ্ছেন না। এবার যতদিন না রাজ্য সরকার সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করছে ততদিন রেল এবং সড়ক অবরোধ চলবে বলে হুশিয়ারি দেওয়া আন্দোলনকারীদের তরফে।
এদিকে এদিনই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আদ্রা পুরুলিয়া শাখা দিয়ে চলা বহু ট্রেন বাতিল এবং ঘুরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। বাতিলের মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়া হাওড়া এক্সপ্রেস, দানাপুর টাটা এক্সপ্রেস, হাতিয়া খড়গপুর এক্সপ্রেস-সহ বহু প্যাসেঞ্জার এবং মেমু ট্রেন। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার জেলা শাসক রজত নন্দা বলেন, “আন্দোলন কারীদের অবরোধ না করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আলোচনা চলছে তাদের সঙ্গে।”