Jhalda Councillor Murder Case: তপনকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছিলেন, সিবিআই মামলা পেতেই ঘর থেকে মিলল প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 06, 2022 | 11:21 AM

Jhalda Councillor Murder Case: নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহের পাশে মিলেছে সুইসাইড নোট।

Jhalda Councillor Murder Case: তপনকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছিলেন, সিবিআই মামলা পেতেই ঘর থেকে মিলল প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ
নিরঞ্জনের মৃত্যুতে এফআইআর (বাড়ির ছবি)

Follow Us

পুরুলিয়া : ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্তের প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে আরও এক রহস্যজনক মৃত্যু। বুধবার সকালে উদ্ধার হল তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জনের দেহ। বুধবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর দেহের পাশেই একটি সুইসাইড নোট মিলেছে, যাতে মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে পরিবার।

তপন কান্দুকে বহুদিন ধরেই চিনতেন নিরঞ্জন নামে ওই ব্যক্তি। চোখের সামনে খুন হতে দেখেছিলেন তপনকে। পেশায় শিক্ষক নিরঞ্জনকে এ দিন সকাল থেকেই দেখা যায়নি। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সাধারণত ঘুুম থেকে উঠে সকালের দিকেই টিউশন পড়াতেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তিনি ঘর থেকে না বেরনোয় সন্দেহ হয় পরিবারের। তাঁরা ডাকতে গিয়ে দেখেন ওই দৃশ্য। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তি।

নিরঞ্জনবাবুর দাদা জানিয়েছেন, তপন কান্দু খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তাঁর ভাই। তাই তপন খুন হওয়ার পর থেকেই নিরঞ্জনবাবুকে বারবার ডেকে নিয়ে যেত পুলিশ। থানায় বসে থাকতে হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পুলিশ মানসিক চাপ দেওয়াতেই ওই ব্যক্তি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। তপন কান্দু খুনে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। থানার আইসি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর এবার আরও বড় অভিযোগ তুললেন নিরঞ্জনবাবুর পরিবার।

এ দিকে, কংগ্রেসের দাবি, বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জন নামে ওই ব্যক্তিকে। বিশেষত সিবিআই ওই খুনের মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর থেকেই শাসক দলের তরফে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের একাংশ।

তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। খবর পেয়ে এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝালদা থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি ছিল নিরঞ্জনবাবুর। তাঁর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন অনেকেই।

যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে সেখানে পুলিশ যে তাঁকে বারবার ডাকছিল সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে সুইসাইড নোটে। ওই চিঠিতে লেখা আছে, তপনকে হত্যা করার সেই দৃশ্য মাথা থেকে বের করতে পারছেন না তিনি। তাই সে দিন থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা।

এ দিকে, এ দিন সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার বনধ শুরু হয়েছে ঝালদায়। তপন কান্দুর স্ত্রীকে হেনস্থা করার প্রতিবাদে বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন : Weather in Kolkata: আপনার দরজায় হাজির ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, ১২২ বছরে এমন মার্চ মাস দেখেনি বাংলা

Next Article