
পুরুলিয়া: এসআইআর-এর শুনানির দিন ছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন টোটো ডাকতে যাবেন বলে। রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের দেহ। পরিবারের দাবি, শুনানির আতঙ্কে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ। সোমবার এই ঘটনার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়ার পারা বিধানসভা চৌতালা গ্রামে। মৃতের নাম দুর্জন মাঝি। বাবার মৃত্যুতে সোমবারই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিলেন ছেলে। মঙ্গলবার চিফ ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও রাজ্যের চিফ ইলেক্ট্রল অফিসার মনোজ আগারওয়ালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। মানসিক নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্জন মাঝি প্রাক্তন বিসিসিএল কর্মী। এসআইআর-এর ফর্ম পূরণের পরেও তিনি শুনানির ডাক পান। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও তাঁর মেয়ে রয়েছেন। যদিও তাঁদের ডাক পড়েনি। তাই গত কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কে ছিলেন। পরিবারের দাবি, হিয়ারিংয়ের নোটিস আসার পর থেকেই মনমরা থাকতেন তিনি। বাড়িতে বলতেন , তাঁকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সোমবার ছিল শুনানি। বাড়ি থেকে পারা ব্লকের দূরত্ব প্রায় ১০কিলোমিটার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটো ডাকতে যান। রেললাইন থেকে দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, শুনানির আতঙ্কেই আত্মহত্যা।
জেলা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি কিরীটি আচার্য্য বলেন, “এসআইআর করার নামে মানুষকে হয়রানি করার নিদর্শন আমরা দেখছি। বিভিন্ন জায়গায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। পুরুলিয়া জেলায় একজন আদিবাসি নিবাসী একজনকে আত্মহত্যা করতে হল।”
জেলা বিজেপি নেতা জয়দীপ্ত চট্টরাজের পাল্টা বক্তব্য, “এসআইআর প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে শাসক দল। প্রথম থেকেই এই পদ্ধতিকে বানচাল করার চেষ্টা করেছে। কাকতলীয় একটি ঘটনাকে এর সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছে। এটা একটা নিছক একটা দুর্ঘটনা।”