Jalpaiguri: ঘর থেকে উদ্ধার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ, রহস্য ঘনীভূত
Jalpaiguri: যদিও শিক্ষিকার দাদা প্রীতম সরকারের অভিযোগ, তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোনের স্বামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর বক্তব্য, স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
জলপাইগুড়ি: স্কুল শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘর থেকে উদ্ধার শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় জলপাইগুড়ি বামন পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষিকার নাম বনশ্রী রায়। তিনি জলপাইগুড়ি ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বামনপাড়া এলাকায়। ঘটনায় স্বামীকে আপাতত আটক করেছে পুলিশ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নিজের ঘরেই ছিলেন বনশ্রী। বাড়িতে তাঁর স্বামী ছিলেন। অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ায়, ঘরের দরজা না খোলায় স্বামী ডাকাডাকি শুরু করেন। তাঁর চিৎকারেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে ঘরের দরজা খুলে দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন শিক্ষিকা।
যদিও শিক্ষিকার দাদা প্রীতম সরকারের অভিযোগ, তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোনের স্বামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর বক্তব্য, স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সারাদিন আপন মনে কথা বলতেন। আপাতত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো বেশ ভালই জানতাম। স্কুলে যেতে আসতেন। কবে থেকে যাওয়া বন্ধ করেছেন জানি না। এখন ভিতরকার ব্যাপার। সেটা কী হয়েছে বলতে পারছি না।”