Councillor Murder: ‘কথা হল কাকার সঙ্গে?’ ঝালদার মৃত কাউন্সিলরের ভাইপোর কাছে কেন বারবার আসত আইসি-র ফোন?
Councillor Murder: রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি তদন্তে ভরসা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে পরিবার। একই দাবি কংগ্রেস নেতাদেরও।
ঝালদা : রাজ্যে একই দিনে পরপর দুই কাউন্সিলরের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজনীতি। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনছেন স্ত্রী ও তাঁর পরিবার। নিহত তপন কান্দুর পরিবারের দাবি, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন ঝালদা থানার আইসি। নিহতের ভাইপো মিঠুন কান্দু জানিয়েছেন তাঁকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। তৃণমূলে আসতে কাকা রাজি কি না, তা জানতে চাইতেন আইসি। এমনকি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দরাদরি হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। চেয়ারম্যান পদ দিতে রাজি ছিলেন না আইসি। তিনি জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে যাঁরা জিতেছেন, তাঁরাই পাবেন ওই পদ।
আইসি-র বিরুদ্ধেই বারবার অভিযোগ
ঝালদা থানার আই সি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্রমশ জোরদার হচ্ছে নিহত তপন কান্দুর পরিবারের। আগেই নিহতের স্ত্রী তথা ঝালদা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আজও তিনি একই দাবিতে অনড় রয়েছেন। আই সি-র সঙ্গে আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে তাঁর। এখনও এ নিয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। যতদিন না এই হত্যার বিচার হয় ততদিন তিনি ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করতে দেবেন না, এমন তোপও দেগেছেন।
ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া গিয়েছেন কংগ্ৰেসের এক প্রতিনিধি দল। সেই দলে রয়েছেন কংগ্ৰেস নেতা আব্দুল মান্নান, সন্তোষ পাঠক, অমিতাভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
বিক্ষোভ ঝালদায়
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুরের ডিএমসি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে এসে ডিএমসি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়।
কী হয়েছিল রবিবার?
গত রবিবার পুরুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কংগ্রেস নেতা তথা ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দুর। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম গুরুতর হওয়ার সেখান থেকে তাঁকে রাঁচিতে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাইকে করে কয়েকজন দুস্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।