Jhalda Councillor Murder: কাছেই ছিল আরটি ভ্যান, খবর পেয়েও গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরের কাছে যাননি কোনও পুলিশকর্মী! বিস্ফোরক তথ্য
Jhalda Councillor Murder: সিবিআই জানাচ্ছে, তপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাঁকে আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত। সেক্ষেত্রে প্রাণ বাঁচানো যেত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, মাঝরাস্তায় তপন কান্দু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এ খবর পুলিশের কাছে পৌঁছে যায় আগেই। তবুও সব শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে সেসময় যায়নি। ঘটনাস্থলের খুব কাছে ৪০০ মিটার দূরেই ছিল ঝালদা থানার আরটি ভ্যান। সেখানেই প্রথম খবর আসে কাউন্সিলরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি। কিন্তু সব জেনেও ওই আরটি ভ্যানের দায়িত্বে থাকা এক সাব ইন্সপেক্টর গাড়ি নিয়ে সেখানে যাননি। কাউকে পাঠানোর কথাও বলেননি। এমনকি আরটি ভ্যানের কোনও সদস্য যাতে সেখানে না যান,তার জন্য শাসানি দেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ওই গাড়ির কেউ যাননি। ক্লোজ হওয়া পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক জায়গায় ধন্দ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বহু তথ্য ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতেও এসেছে।
সিবিআই জানাচ্ছে, তপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাঁকে আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত। সেক্ষেত্রে প্রাণ বাঁচানো যেত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলের এতটাই কাছে ছিল, যে তখনই গেলে হয়তো দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে ধরা যেত। ঝালদা খুনের তদন্তেও নমুনা সংগ্রহের জন্য সিএফএসএল-এর সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই।
আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে হুমকির অভিযোগ তুলছিল পরিবার। তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু প্রথম থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে আসছিলেন। পুলিশের তরফ থেকেও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করছিলেন তিনি। আইসি-র বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট করে অভিযোগ ছিল তাঁর। পুরভোটে তপন কান্দু জিতলেও, আইসি তাঁকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাই সিবিআই তদন্ত নেওয়ার পরই প্রথমে এই আইসি-কেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। শুক্রবার ঝালদায় আসছেন সিবিআই-এর ডিআইজি। তাঁর নেতৃত্বেই তদন্ত পরিচালনা করা হবে। তিনি নিজে তপন কান্দুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের তদন্তেও টেকনিক্যাল এক্সপার্টের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই। ঝালদাতে নিয়ে আসা হয়েছে তিন বিশেষজ্ঞকে। যারা অভিযুক্ত ও সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখবেন। খতিয়ে দেখবেন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার দিন এলাকায় আর কোনও ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল কিনা, আর কোনও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন কিনা, তা দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ঘাটেই পড়ে জামা-কাপড়, জলে ডুব দিতেই ‘হারিয়ে’ গেল বছর সতেরো-র প্রিয়াংশু