Protester beaten: বাড়িতে ঢুকে মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা, প্রতিবাদীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল

Protester beaten: অভিযোগ, গত ৮ জানুয়ারি রাতে বলরামপুর শহরের রেজিস্ট্রি পাড়াতে এক গৃহবধুর বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন যোগেন রুহিদাস নামে এক তৃণমূল কর্মী। গৃহবধুর আত্মীয় রাজু রুহিদাস ও তাঁর পরিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করেন।

Protester beaten: বাড়িতে ঢুকে মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা, প্রতিবাদীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজু রুহিদাস

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jan 24, 2025 | 11:13 PM

পুরুলিয়া: মহিলার সম্মান বাঁচাতে প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদীকেই ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম প্রতিবাদী যুবক রাজু রুহিদাস। তিনি পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

অভিযোগ, গত ৮ জানুয়ারি রাতে বলরামপুর শহরের রেজিস্ট্রি পাড়াতে এক গৃহবধুর বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন যোগেন রুহিদাস নামে এক তৃণমূল কর্মী। গৃহবধুর আত্মীয় রাজু রুহিদাস ও তাঁর পরিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করেন। এবং সেই সময় মোবাইলে ছবি তুলে রাখেন। সেদিন ওই ঘটনায় বলরামপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতার করা হয় যোগেন রুহিদাসকে।

রাজুর অভিযোগ, এরপর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার ও তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা রফিক আনসারি ও তাঁর দলবল। গত ১৭ তারিখে জামিনে মুক্তি পান যোগেন। গতকাল রাতে বলরামপুর শহরের গোপ হোটেলের কাছে রাজু রুহিদাসকে একা পেয়ে অভিযুক্তরা সদলবলে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ।

তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মারধরের ঘটনাটি স্থানীয় বলরামপুর থানায় জানানো হলেও আহত রাজুকে পুরুলিয়ায় নিয়ে আসায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে পারেনি পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিক আনসারি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারী পরিবারের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। তাই এই অভিযোগ করছে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে পুলিশ আছে, আইন আছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
অভিযুক্ত যোগেন রুইদাসের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনও উত্তর না দিয়েই চলে যান।

বিজেপির ওবিসি মোর্চার জেলা সভাপতি বিরিঞ্চি কুমার এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। পুলিশকে তৃণমূলের ‘দলদাস’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। অভিযোগ না নিলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেন।