Purulia Crime: স্ত্রীর বুকের উপর উঠে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন, ছেলের সাক্ষ্যে বাবার যাবজ্জীবন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 04, 2022 | 5:03 PM

Purulia: পুরুলিয়ার ঘটনা। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম কোর্ট) অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার কেন্দা থানার ভাদশা গ্রামের চিত্তরঞ্জন মাহাতকে এই সাজা দেন।

Purulia Crime: স্ত্রীর বুকের উপর উঠে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন, ছেলের সাক্ষ্যে বাবার যাবজ্জীবন
অভিযুক্ত ব্যক্তি চিত্তরঞ্জন মাহাত (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পুরুলিয়া: মা-কে বাটালি দিয়ে মেরে খুন। দীর্ঘ সময়ের পর বাবার শাস্তির খবর শুনে সন্তোষ প্রকাশ করল ছেলে।

পুরুলিয়ার ঘটনা। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম কোর্ট) অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার কেন্দা থানার ভাদশা গ্রামের চিত্তরঞ্জন মাহাতকে এই সাজা দেন। এতে প্রধান সাক্ষী ছিলেন চিত্তরঞ্জনের ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত।

এ দিন, সাজা ঘোষণা হওয়ার পর তিনি জানিয়ে দেন তাঁর বাবা হলেও যে অপরাধ চিত্তরঞ্জন করেছিল তাতে কঠোর শাস্তিই প্রাপ্য ছিল তার। চার বছর আগের ঘটনা। মৃত মহিলার নাম অষ্টমী মাহাত। অষ্টমীর সঙ্গে চিত্তরঞ্জনের বৈবাহিক সম্পর্ক ভাল ছিল না বলেই খবর। এরপর মনসা পুজোর দিন নৃশংস ভাবে স্ত্রীকে খুন করে চিত্তরঞ্জন। বাটালি দিয়ে কোপাতে শুরু করে সে। ঘটনায় মৃত্যু হয় মহিলার। সেই ঘটনারই প্রধান সাক্ষী ছিলেন বড় ছেলে মৃগাঙ্ক।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী পার্থ সারথী রায় জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১৭ অগস্ট মনসা পুজোর দিনে একটি বাটালি দিয়ে কুপিয়ে নিজের স্ত্রী অষ্টমী মাহাতকে খুন করেছিল চিত্তরঞ্জন মাহাত। সেই ভয়াবহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল তাদের বড় ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত। মৃগাঙ্কর সাক্ষ্য থেকে জানা গিয়েছে, সম্পর্ক ভাল ছিল না স্বামী স্ত্রী-র মধ্যে। সেদিন স্ত্রীর বুকের উপর বসে বাটলি দিয়ে তাঁকে কুপতে শুরু করে চিত্তরঞ্জন। এই সময় মৃত্যুঞ্জয় পৌঁছে গেলে সে ঠেলে নিজের বাবাকে সরিয়ে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অষ্টমীকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।

এরপর দীর্ঘদিন চলছিল সেই ঘটনার বিচার। শনিবার বিচারক অভিযুক্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও দশ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

Next Article