ঝালদা : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় এক সাব ইনস্পেকটর সহ মোট পাঁচ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। ঝালদার ঘটনার দিন নাকা চেকিংয়ে ছিলেন ওই পাঁচ পুলিশকর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান। উল্লেখ্য গত রবিবার ঝালদায় খুন হয়েছিলেন পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিলেন মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবার। এবার তপন কান্দু খুনের এক সপ্তাহ পর পাঁচ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ় করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান।
ঝালদার ঘটনায় এত দেরিতে ফরেনসিক নিয়ে ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন তুলেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এখনও সিবিআই তদন্তই তাঁরা চান বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাইপো মিঠুন কান্দু। তিনি বলেন, “ঘটনার আট দিন পর ফরেন্সিক দল এসে কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে “। সেই সঙ্গে তাঁদের আরও অভিযোগ, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তাঁদের কিছু জানানোও হচ্ছে না। আইসি অভিযুক্ত হয়েও ঝালদা থানায় কী করে বসে থাকেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফরেন্সিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তৎপর হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ঝালদা থানার আইসি এখনও ওই পদে আসীন থাকায় তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। জেলা কংগ্রেস সহ সভাপতি সুখেন্দু শেখর ত্রিপাঠি বলেন, “কংগ্রেস এই ঘটনার শেষ দেখেই ছাড়বে।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তৃণমূলের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা তথা জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত নির্দিষ্ট গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ নিয়ে রাজনীতি করা কাম্য নয়।”