
পুরুলিয়া: এসআইআর-এর শুনানি চলাকালীন আত্মঘাতী এক বৃদ্ধ। শুনানির ভয়েই আত্মঘাতী বলে অভিযোগ উঠছে। পুরুলিয়ার পারা বিধানসভা চৌতালা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দুর্জন মাঝি, বয়স (৮২)। পরিবারের দাবি, সোমবারই শুনানির তারিখ ছিল। শুনানিতে যাবেন বলে সব ঠিকও ছিল। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরিবারের দাবি, বাড়িতে জানিয়ে যান, শুনানির জন্য টোটো ডাকতে যাচ্ছেন। তিনি আদ্রা বিভাগের আনারা -রুকনি রেল লাইনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
দুর্জন মাঝি প্রাক্তন বিসিসিএল কর্মী। এসআইআর-এর ফর্ম পূরণের পরেও তিনি শুনানির ডাক পান। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও তাঁর মেয়ে রয়েছেন। যদিও তাঁদের ডাক পড়েনি। তাই গত কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কে ছিলেন। পরিবারের দাবি, হিয়ারিংয়ের নোটিস আসার পর থেকেই মনমরা থাকতেন তিনি। বাড়িতে বলতেন , তাঁকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার ছিল শুনানি। বাড়ি থেকে পারা ব্লকের দূরত্ব প্রায় ১০কিলোমিটার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটো ডাকতে যাওয়ার পথেই রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়া আত্মহত্যা করেন।
পরিবারের অভিযোগ, শুনানির আতঙ্কেই আত্মহত্যা। যদিও গ্রামের বাসিন্দারা বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য, দুর্জন গ্রামের আদি বাসিন্দা।
পাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৯৯ নম্বর বুথের বিএলও বাবলু মাঝির বক্তব্য, ” ২০০২সালের তালিকায় ওই ব্যক্তির নাম ছিল। কিন্তু বিএলও অ্যাপে তাঁর নাম না থাকায় ম্যাচিং হচ্ছিল না। তাই তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওনাকে বলা হয়েছিল ২০০২ এর তালিকা নিয়ে গেলেই নাম উঠে যাবে। এটা একটা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা চলছে।”