Purulia: অ্য়াটেনডেন্সের খাতা নিয়ে ঝামেলা! ছাত্রদের সামনেই এই শিক্ষকরা মারপিট করলেন

তপন হালদার | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 02, 2025 | 6:33 PM

Purulia: ঘটনাটি বলরামপুর ব্লকের মালতি শ্যামনগর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে। বুধবার সকালে সহকারি শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি জানার জন্য হাজিরার খাতা চান।

Purulia: অ্য়াটেনডেন্সের খাতা নিয়ে ঝামেলা! ছাত্রদের সামনেই এই শিক্ষকরা মারপিট করলেন
বাঁদিকে সহকারী শিক্ষক, ডানদিকে প্রধান শিক্ষক
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

পুরুলিয়া: স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা মারপিট করে। সহপাঠীরা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করে। কিন্তু সেই স্কুলের মধ্যে যদি দুই শিক্ষক মারামারি করেন তাহলে কেমন দেখায়? পুরুলিয়ায় ঘটেছে এমনই ঘটনা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা খাতা না দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে প্রথমে বাগ-বিতণ্ডা, পরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠেছে নিন্দার ঝড়। প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের শিক্ষকরাই যদি এমন কাজ করেন তাহলে তাঁদের দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা কী শিখবে?

ঘটনাটি বলরামপুর ব্লকের মালতি শ্যামনগর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে। বুধবার সকালে সহকারী শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি জানার জন্য হাজিরার খাতা চান। তা দিতে অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ মাহাতো। প্রতিবাদ করায় অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও নিগ্রহের স্বীকার হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ সহকারী শিক্ষক।

তবে একা নন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন স্কুলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রাঁধুনি থেকে গ্রামবাসী সকলেই। তাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নিম্নমানের মিড-ডে-মিলের খাবার পরিবেশন করে থাকেন। শিক্ষকদের মধ্যে এই মারামারির ঘটনার নিন্দা করছেন এলাকার অভিভাবকরা। ঘটনার খবর পেয়ে বলরামপুর থানা পুলিশ বিদ্যালয়ে পৌঁছে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেন।যদিও শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।

সহকারী শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস বলেন, “আমি বাচ্চাদের খাতা চাইছিলাম। উনি বলছেন তোমার কোনও অধিকার নেই। অ্যাটেনডেন্সের খাতা নেওয়ার অধিকার নেই। এরপর মারধর শুরু করেছেন। আমি তো অভিযোগ করব। ওঁর যা ব্যবহার উনি যে কোনওদিন আমায় মেরে ফেলতে পারেন।” প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ মাহাতো বলেন, “অ্যাটেনডেন্সের খাতা তখনই চাইবে যখন যে হারে ছেলে উপস্থিত থাকবে সেই হারে চাল দেবে। অথচ উনি বলছেন এই সব দেখতে পারবেন না। আমি মারিনি। উল্টে আমায় ঘুষি মেরেছে। টুটি টেপার চেষ্টা করেছে।”

 

Next Article