
পুরুলিয়া: রাত তখন বারোটা। একদম নিস্তব্ধ চারদিক। সেই সময় ধীরে-ধীরে এগিয়ে আসছিল একটি মালগাড়ি। কিন্তু চালক দূর থেকেই দেখেন রেললাইনে পড়ে রয়েছে কিছু। কৌতূহলবসত ধীরে ধীরে মালগাড়ি আরও এগিয়ে আনতেই চোখ কার্যত কপালে ওঠার জোগাড় হয় তাঁর। একটি বা দু’টি নয়! রেললাইনে পড়ে রয়েছে তিন-তিনটে লাশ।কীভাবে এল, কোথা থেকে এল এই নিয়ে চাপানউতোর বাড়ল ক্রমেই। এরপর খবর দেওয়া হয় পুরুলিয়া জিআরপিতে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুরি চাণ্ডিল শাখার সুইসা রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। সেখানেই রেল লাইনের মধ্যে শায়িত অবস্থায় তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে জিআরপি। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোররাতেই খবর পেয়ে দেহ তিনটি উদ্ধার করে পুরুলিয়া জিআরপি। দেহগুলি পুরুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহগুলির সনাক্তকরণ এখনও পর্যন্ত (দুপুর ১টা) না হলেও, মৃতদেহ তিনটির মধ্যে একজন প্রাপ্ত বয়স মহিলা ও দুটি নাবালিকা রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, কেউ খুন করে মৃতদেহগুলি রেল লাইলে উপর ফেলে দিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কি না তার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জিআরপি।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত্রি ১২টার সময় চণ্ডিল-মুড়ি বিভাগের সুইসা স্টেশনের অদূরে মালগাড়ির চালক দেখতে পান রেল লাইনের উপরে কিছু পড়ে রয়েছে। দেখা যায় ৩টি দেহ ফেলে রাখা হয়েছে লাইনের উপর। বিষয়টি সুইসা স্টেশনে খবর দেন তিনি। সেখান থেকেই পুরুলিয়া জিআরপিকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে মেসেজ করা হয়। তারপরই জিআরপি ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কুইরি বলেন, “রেললাইন থেকে তিনটে দেহ উদ্ধার হয়েছে শোনা যাচ্ছে। এটা খুবই খারাপ কাজ। যেহেতু ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকা তাই চাইছি পুলিশ যেন একটু বেশিই নজর রাখে। ” এসআরপি খড়গপুর বিভাগ দেবশ্রী সান্যাল বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে বোঝা যাবে কেন মৃত্যু হয়েছে।”