Raju Banerjee: ‘মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন’, তোপ রাজুর, প্রচ্ছন্ন সমর্থন সৌমিত্রকে
Raju Banerjee: বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্বের তরফে যখন দলের কর্মকর্তাদের এ হেন বঙ্গের অঙ্গহানিসূচক মন্তব্যে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তখন, বিজেপি সাংসদের মতামতকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন করলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু তথা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরুলিয়া: বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বঙ্গযুদ্ধ থামেনি। রাজ্য় সরকারের বিরোধীতায় কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে বিরোধী শিবির। সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি করেন। তৃণমূলের তরফে সেই মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হলেও, বিষ্ণুপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও কার্যত বার্লাকে সমর্থন করে পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি তোলেন। বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্বের তরফে যখন দলের কর্মকর্তাদের এ হেন বঙ্গের অঙ্গহানিসূচক মন্তব্যে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তখন, বিজেপি সাংসদের মতামতকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন করলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু তথা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার, বিজেপির (BJP) বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুরুলিয়ায় এসে কার্যত সৌমিত্র খাঁ-কে পরোক্ষ সমর্থন করেই বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “সৌমিত্র খাঁ যা বলেছেন তা ওঁর ব্যক্তিগত। দল এ বিষয়ে যা বলার বলে দিয়েছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী যদি দেশে পাঁচটা রাজধানী করতে বলতে পারেন তাহলে আলাদা উত্তরবঙ্গ বা আলাদা রাঢ়বঙ্গের দাবি তো দোষের মধ্যে দেখি না। জঙ্গলমহলে এখনও পর্যন্ত কোনও উন্নয়ন হয়েছে? হয়নি। সেক্ষেত্রে সাধারণ বঞ্চিত মানুষ যদি তাঁদের অধিকারের জন্য সরব হন তবে আমাদের কিছুই বলার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন।”
বিজেপি নেতার বক্তব্যে বিভাজনের ইঙ্গিত স্পষ্ট এই দাবি করে জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, “গেরুয়া শিবির বিভাজনের রাজনীতি করে। কখনও জাতপাত তো কখনও অন্য কোনো ইস্যু। এই বিভাজনের রাজনীতি বাংলার মানুষ মানবে না তা সাম্প্রতিক ফলাফল বুঝিয়ে দিয়েছে। শান্তির বিপক্ষে থেকে সবসময় উত্তেজনা ছড়ানো বিজেপির লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ জন বার্লার দাবিকে সমর্থন করে সুরে সুর মিলিয়েছেন মিহির গোস্বামী-সহ একাধিক পদ্মনেতা। শুক্রবার, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও বার্লার দাবি প্রসঙ্গে ‘সতর্ক’ মন্তব্য করে বলেছেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” যদিও, রাজ্য বিজেপির দাবি, বঙ্গভঙ্গ নয় বরং অখণ্ড ভারতেরই দাবিদার পদ্ম শিবির। সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। টিভি নাইন বাংলাকে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও জানিয়েছেন, অখণ্ড বঙ্গেই বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজেপি। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলেও বঙ্গের অঙ্গহানি ঘটবে না এমন কথাও নিশ্চিত করেন নাড্ডা।
আরও পড়ুন: ‘জন বার্লার মন্তব্য ওঁর ব্যক্তিগত, সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গের মানুষই নেবে’, ‘সতর্ক’ মন্তব্য শান্তনুর