পুরুলিয়া: আদ্রার তৃণমূল নেতা খুনের কিনারা এখনও হয়নি। কিন্তু এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ কিংবা রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর ভরসা রাখছেন না শাসকদলেরই কর্মী সমর্থক তথা পরিবারের সদস্যরা। আদ্রায় তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবেকে ‘গুলি’ করে খুনের ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হলেন এলাকার মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ছিল ধনঞ্জয় চৌবের শেষ যাত্রা। সামিল হয়েছিলেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনার মর্মান্তিকতার বলতে গিয়ে অনেক কর্মীর চোখেই জল চলে আসতে দেখা যায়। মিছিল থেকেই তৃণমূল কর্মীরা বলতে থাকেন, যেভাবে রাজ্য পুলিশের তদন্ত এগোচ্ছে তাতে তাঁদের ভরসা নেই। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার আদ্রা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই খুন হন ধনঞ্জয়। অভিযোগ, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চলেছিল। ঝাঁঝরা হয়ে যান আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। গুলি লাগে তাঁর দেহরক্ষী শেখর দাসের শরীরেও।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিন জন দুষ্কৃতী বাইকে এসেছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন নেতা। পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি ছোড়া হয়। মোট ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পাশের একটি সরু গলি ধরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
যে বাইকে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, তারা সেটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তদন্তে নেমে বাইকটি উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে বাইকটিতে ভুয়ো নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল। চেসিস নম্বর ধরে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, দুষ্কৃতীরা যে বাইকটি ব্যবহার করেছিল তা বেশ কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ড থেকে চুরি করা হয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকার ব্যবহার করে পুলিশ ইতিমধ্যেই স্থানীয় বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরসাদ হোসেন এবং তাঁর বন্ধু মহম্মদ জামালকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, আরসাদের বাড়ি আদ্রা থানার চুনাভাটি গ্রামে, জামালের বাড়ি ওই থানারই বেনিয়াশোন এলাকায়। দু’জনকে ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তৃতীয় হামলাকারী ও মূল চক্রীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ধনঞ্জয় চৌবে খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট নন স্থানীয় মহিলা তৃনমূল কর্মীরা। শুক্রবার পুরুলিয়ায় ধনঞ্জয়ের মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর সন্ধ্যায় মৃতদেহ আদ্রায় পৌঁছয়। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হন এলাকার নেতা। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রিয় নেতাকে যেভাবে গুলি করে খুন করা হয়েছে, তাতে দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে ফাঁসি দেওয়া হোক। ঘটনার অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা।মহিলা তৃণমূল কর্মীরা।
ধনঞ্জয় তাঁদের প্রিয় নেতা। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রিয় নেতাকে যেভাবে গুলি করে খুন করা হয়েছে, তাতে দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে ফাঁসি দেওয়া হোক। ঘটনার অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা।