Jhalda Municipality: ঝালদা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে খুশি কংগ্রেস, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 06, 2022 | 7:39 AM

Purulia News: সোমবারই ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

Jhalda Municipality: ঝালদা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে খুশি কংগ্রেস,  বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
পূর্ণিমা কান্দু-সহ কংগ্রেসের অন্যান্যরা।

Follow Us

পুরুলিয়া: ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) অস্থায়ী ‘চেয়ারম্যান’-এর নাম ঘোষণা করেছিল রাজ্য। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গত সপ্তাহেই। এরপরই হাইকোর্টে মামলা। সেই মামলায় সোমবার বড়সড় ধাক্কা খায় রাজ্য। ঝালদা পুরসভা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, আদালতের রায়ে মুখ পুড়েছে শাসকদলের। এই দলের আর ক্ষমতায় থাকারই অধিকার নেই বলে দাবি করেন তাঁরা। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে পূর্ণিমা কান্দু বলেন, তৃণমূল যতই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক, ঝালদায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। এখানে কংগ্রেসই বোর্ড গঠন করবে। পূর্ণিমার সংযোজন, সেই বোর্ড হবে মানুষের জন্য। যদিও এ বিষয়ে ঝালদার অপসারিত পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “কংগ্রেস ঘোড়া কেনাবেচা করে নির্দল কাউন্সিলরকে নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছে। তাদের একজনকে পুরপ্রধান হিসাবে আবার মানুষের সামনে এনেছে। এই বিষয়টাও নজরে রাখা দরকার।” এদিন রায় আসার পর পুরুলিয়া ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডে পথ সভা থেকে রায়কে স্বাগত জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখানে পথসভার আয়োজন করা হয় কংগ্রেসের তরফ থেকে।

ঝালদা পুরসভায় অস্থায়ী ‘চেয়ারপার্সন’ বসানোর সিদ্ধান্তে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, প্রশাসক নয়, আপাতত পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন জেলাশাসক। ৩ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, শনিবার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু তার আগের দিনই রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আদালতে যায় কংগ্রেস। সোমবার সেই মামলাতেই ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২ ডিসেম্বর রাজ্যের জারি করা নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি জানান, নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ধার্য করার দায়িত্ব ভাইস চেয়ারম্যানের। সাতদিনের মধ্যে তাঁর এই কাজ করার কথা। ৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিশেষ সভার আগেই রাজ্য প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হল কি না সে বিষয়ে ২ ডিসেম্বরের নির্দেশিকায় কোনও উল্লেখ নেই। এরপরই সবপক্ষের হলফনামা তলব করেন তিনি।

Next Article