Jhalda Councillor Death: রাতেই ফোন সিবিআইয়ের, ঝালদার কাউন্সিলর খুনে ডাক নেপাল মাহাতোকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Apr 29, 2022 | 8:50 PM

Jhalda: ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে।

Jhalda Councillor Death: রাতেই ফোন সিবিআইয়ের, ঝালদার কাউন্সিলর খুনে ডাক নেপাল মাহাতোকে
কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নেপাল মাহাতোকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির পরপর চারবারের বিধায়ক (২০০১, ২০০৬, ২০১১, ২০১৬) নেপাল মাহাতোকে শুক্রবার ডেকে পাঠায় সিবিআই। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে নেপাল মাহাতোকে ফোন করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যেতে বলা হয়। সেইমতোই শুক্রবার তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। প্রায় ২ ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। নেপাল মাহাতোর বক্তব্য, তপন কান্দু খুনের ঘটনায় জেলা কংগ্রেস সভাপতির কাছে কী তথ্য রয়েছে, সেটাই জানতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা জানান, যা জানেন, সবই জানিয়ে এসেছেন। ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে নিয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়।

নেপাল মাহাতো বলেন, “আমাকে বৃহস্পতিবার ফোন করা হয়েছিল। তপন কান্দুর ঘটনা নিয়ে ওরা তদন্ত করছে। এই নিয়েই নানা প্রশ্ন করছিল। যদি আমি আলাদা কোনও কিছুতে আলোকপাত করতে পারি। কিছু কিছু বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছে। আমিও যতটা পেরেছি সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কী বলেছি, এটা বাইরে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তবে যা জানতে চাওয়া হয়েছে আমি জবাব দিয়েছি। আইসি নিয়েও জানতে চায়।”

ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সামনে থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। উদ্ধার করে রাঁচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিরোধী দলের কাউন্সিলরের এই মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। প্রথম থেকেই তপন কান্দুর স্ত্রীর অভিযোগের আঙুল ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সরাসরি পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ করেছিলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দু-সহ বেশ কয়েকজনের যোগসাজশেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।” পরে তিনিই সিবিআই চেয়ে সরব হন। কলকাতা হাইকোর্ট সেই নির্দেশও দেয়। তার নিরিখেই তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন: Hanskhali Minor Girl Assault: হাঁসখালিকাণ্ডে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার, ইনিই মূল অভিযুক্তের বাবা

Next Article