Ketugram Crime: স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, এবার ‘মা’ মমতার সঙ্গে দেখা করতে চান রেণু

Ketugram Crime: মুখ্যমন্ত্রী চাকরির কথা ঘোষণা করার পর তাঁকেই মা বলে সম্বোধন করেছেন রেণু। কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

Ketugram Crime: স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, এবার 'মা' মমতার সঙ্গে দেখা করতে চান রেণু
মমতার সঙ্গে দেখা করতে চান রেণু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 8:28 AM

দুর্গাপুর : গত কয়েকদিনে কেতুগ্রামের রেণুর লড়াইয়ের কথা জেনে গিয়েছেন অনেকেই। তাঁর স্বপ্ন শেষ করে দিতে ডান হাতটাই কেটে নিয়েছেন স্বামী। আর সেই স্বপ্নই পূরণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কাটা হাতের যন্ত্রণাও ভুলেছেন রেণু খাতুন। দুর্গাপুরের হাসপাতালে শুয়ে তাই মায়ের সঙ্গে একবার দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তাঁর স্বপ্ন আকাশ ছোঁঁয়ার নয়, শুধু নার্সিং-এর একটা চাকরি পাওয়ার জন্য ছিল তাঁর লড়াই। আর সেটুকুও সমূলেই বিনাশ করে দিতে চেয়েছিলেন তাঁর স্বামী শের মহম্মদ। রাতে যখন রেণু ঘুমোচ্ছিলেন, তাঁর হাত কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। তবে তিনি হয়ত ভাবেননি হাত কেটেও দমিয়ে রাখা যাবে না রেণুকে। তাঁর অদম্য ইচ্ছা তাঁকে বাঁ হাতেই লিখতে শেখাচ্ছে। আর রেণু লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই ঘোষণাতেই অর্ধেক সুস্থ হয়ে উঠেছেন রেণু। দুর্গাপুরের আইকিউ সিটি হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে কথাই জানালেন কেতুগ্রামের রেণু খাতুন।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী রেণুর চিকিৎসা ও চাকরির আশ্বাস দেওয়ার পরে বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে রেণু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে একবার দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। চাকরির খবর শোনার পর রেণু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমার চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন জেনে আমি খুব খুশি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবার আমি আমার মায়ের সঙ্গে একবার দেখা করতে চাই।’ তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীই মায়ের মত, উনি মায়ের মতই পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রেণুর চাকরির কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রেণু খাতুনের চাকরির কাগজপত্র তৈরি করে ফেলা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড তাঁকে পূর্ব বর্ধমানে সুপারিশ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রেণু গ্রেড ২ তে স্টাফ নার্সের চাকরি পেয়েছিল, তাঁকে জেলাতেই নন নার্সিং কাজে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যেহেতু পাশ করেছিলেন নার্সিংয়ে, ওই গ্রেডেই চাকরি দেওয়া হবে তাঁকে, ২৯ হাজার ৮০০ টাকা বেতন পাবেন তিনি। তবে নার্সিংয়ের কাজ না করে অন্য কাজ করবেন।

বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিং-এর চাকরি করার সময়ই শের মহম্মদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, বিয়েও হয়েছিল। বিয়ের পর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নার্সিং কোর্স করেন তিনি। এরপর সরকারি চাকরির প্যানেলে নামও আসে তাঁর। তারপরই স্বামীর মনে ঢোকে নানা সন্দেহ। স্ত্রীর সরকারি চাকরি পাওয়ার বিষয়টি মানতেই পারছিলেন না তিনি। এরপর রেণুর ডান হাত কেটে সেই কাট হাত নিয়ে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।