পূর্ব মেদিনীপুর: সাংঘাতিক অভিযোগ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এক ব্যক্তিকে বিপাকে ফেলতে বাড়ির সামনে রাস্তা কেটে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। উদ্দেশ্য, ওই ব্যক্তি যাতে বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারেন। এদিকে এই রাস্তা কাটার কারণে সমস্যায় পড়ছেন আর পাঁচজনও। সরু মাটির রাস্তা। তাও কিছুটা কাটা। ফলে গাড্ডায় পড়ছে চার চাকার গাড়িও। পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই-১ অঞ্চলের খারুই গ্রামের ঘটনা। যদিও এ নিয়ে প্রধান শেখ সিরাজুলের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়। বরং ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনের ২ ফুট সরকারের জায়গা বলেই দাবি করা হয়েছে।
খারুই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। সেখানকার প্রধান শেখ সিরাজুল। অভিযোগ, তাঁর কথা মানতে চাননি স্থানীয় মদনমোহন দত্তের পরিবার। এরপরই ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা’ কেটে দেওয়া হয়। আর তাতে শুধু ওই ব্য়ক্তিই নন, বিপাকে পড়েন এলাকার আরও বহু মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাঁচ মাস ধরে এই দুর্ভোগ চলছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি তাঁদের। শাসকদলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং তাদের দাবি, সরকারি খাস জায়গার উপর ২ ফুট জায়গা দখল করে রয়েছে ওই ব্যক্তির বাড়ি। বহুবার তা বলা হয়। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল বলেন, “প্রধানের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। ব্যক্তিগত সমস্যাকে রাজনৈতিক স্তরে নিয়ে গিয়ে প্রধান শেখ সিরাজুল এসব করিয়েছেন। অথচ এলাকার ৬-৭টা বুথ, পাশের ১০-১২টা মৌজার মানুষের যাতায়াত এই রাস্তায়। সামনে স্কুল আছে। রোজই কিছু না কিছু হচ্ছে। অ্যাম্বুল্যান্সও যেতে পারে না।”
অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজকুমার পাঁজার দাবি, “এটা একেবারেই ভুল কথা। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় এই রাস্তা তৈরির জন্য একটি সর্বদলীয় কমিটি হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় রাস্তার স্বার্থে প্রয়োজনে যা ভাঙার ভাঙতে হবে। এলাকার লোক সাহায্যও করেন। কিন্তু এখানে ২ ফুট কম হলে মদনমোহন দত্তের পরিবার বলে সমস্যা সমাধান করে দেবেন। করেনি। অথচ এই জায়গা ওনার এমনও নয়। ২ ফুট জায়গা সরকারেরই। আমরা আগে বলেওছিলাম। কারও কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশের জায়গাই নেই।”