AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অন্যের দুয়ারে যেতেই অশোকের দুয়ারে হাজির তৃণমূল, হাতে ধরাল ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড

রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল সরকার। শিলিগুড়িতে শনিবার একদম এই কায়দায় প্রচারে নামেন সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। তারই পাল্টা রবিবার অশোকবাবুর দুয়ারে হাজির হন তৃণমূলের জন প্রতিনিধি।

অন্যের দুয়ারে যেতেই অশোকের দুয়ারে হাজির তৃণমূল, হাতে ধরাল ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড
একদিকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন অশোক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে তাঁর 'দুয়ারে' তৃণমূল কাউন্সিলর।
| Updated on: Dec 27, 2020 | 12:12 PM
Share

শিলিগুড়ি: রবিবারের জবুথবু সকালে সিপিএম পুর প্রশাসকের দোরে কড়া নাড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর। গত ১০ বছরে শাসকদল কী কাজ করেছে তারই খতিয়ান দিয়ে এলেন। কাউন্সিলরের দাবি, এবার আর শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের ‘জাদু’ কাজ করবে না। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে জয়যাত্রা শুরু হবে তৃণমূলের।

রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল সরকার। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করছে। অভিযোগ শুনছে। শিলিগুড়িতে শনিবার একদম এই কায়দায় প্রচারে নামেন সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। ‘মমতার দেখানো পথে হেঁটে’ একেবারে হইচই ফেলে দেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোকবাবু। বেশ সাড়াও পান। রবিবারও স্থানীয় সুভাষ পল্লি এলাকায় নিজের বাসস্থান সংলগ্ন ওয়ার্ডে ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে।

আরও পড়ুন: দলীয় কার্যালয়ে ‘ভাঙচুর’, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমান

এরপরই তড়িঘড়ি দুয়ারে সরকার নিয়ে তৃণমূলের লোকজন হাজির হন অশোকবাবুর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। এক সময় শিলিগুড়ির প্রতিটি ওয়ার্ডের মতো এটিও নিজেদের অভেদ্য দুর্গ বানিয়ে ফেলেছিল বামেরা। গত পাঁচ বছরে সেখানে পরিবর্তনের হাওয়া ঢুকেছে। এখন এই ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার।

দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অশোক ভট্টাচার্য অভিযোগ পান স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কাজ করছে না। এরপরই একেবারে দিলীপ ঘোষের ভাষাতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে ‘যমের দুয়ারে সরকার’ বলেন শিলিগুড়ির প্রশাসক। তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, “পিকে ডুবছে। শাসকদলও ডুবছে। মানুষের নানা অভিযোগ থেকে তা বোঝাই যাচ্ছে।”

এদিন পাল্টা প্রচারে নেমে স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর রঞ্জন সরকার সদলবলে হাজির হন অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে। অশোকবাবু বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রীর হাতে রিপোর্ট কার্ড তুলে দেন তৃণমূল নেতা। সেখান থেকে বেরিয়েই রঞ্জন সরকারের ভবিষ্যৎবাণী “অশোকবাবু ডুবছেন। কোরামিন দিয়েও তাঁকে বাঁচানো যাবে না।”