Women Trafficking: প্রেম, ধর্ষণ তারপর যৌনপল্লীতে চালান, যুবতী পাচার মামলায় চরম শাস্তি আদালতের

Shuvendu Halder | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Sep 15, 2023 | 4:44 PM

বছর ৬ আগে এ ভাবেই পাচার হয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের এক তরুণী। পরে তাঁকে আগ্রার একটি যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আর বেশ কয়েকটি এলাকার ৫-৬ জন পাচার হয়ে যাওয়া যুবতীকেও উদ্ধার করে পুলিশ।

Women Trafficking: প্রেম, ধর্ষণ তারপর যৌনপল্লীতে চালান, যুবতী পাচার মামলায় চরম শাস্তি আদালতের
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Getty Image

Follow Us

ডায়মন্ড হারবার: চাকরির পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বা প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদ পেতে পাচার করে দেওয়া হয় এ রাজ্যের অনেক কিশোরী-যুবতীকে। তার পর ভিন রাজ্যের কোনও যৌনপল্লীতে দেহব্যবসায় নামতে হয় তাঁদের। বছর ৬ আগে এ ভাবেই পাচার হয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের এক তরুণী। পরে তাঁকে আগ্রার একটি যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আর বেশ কয়েকটি এলাকার ৫-৬ জন পাচার হয়ে যাওয়া যুবতীকেও উদ্ধার করে পুলিশ। সেই নারীপাচার মামলায় দোষীদের শাস্তির ঘোষণা হল। ডায়মন্ড হারবার ফাস্টট্র্যাক আদালতের বিচারক ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে ১০ বছরের এবং এক জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

নারীপাচারে দোষীদের নাম ফারুক আল গায়েন, মিনা সিং এবং মুসলিমা বিবি ওরফে পিঙ্কি। ২০১৭ সালে মথুরাপুরের এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ফারুকের। ওই তরুণীর কাছে নিজেকে রাকেশ মণ্ডল বলে পরিচয় দিয়েছিল ফারুক। তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ‘ভালবাসার টানে’ ফারুক ওরফে রাকেশের সঙ্গে ‘বিয়ে’ করতে বাড়ি ছেড়েছিল ওই তরুণী। এর পর তাকে দিল্লিতে নিয়ে যায় ফারুক। দিল্লিতে পৌঁছনোর পর ফারুকের আচরণের বদলে অবাক হয়েছিল তরুণী। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে একাধিক বার ওই তরুণীতে ধর্ষণ করা হয়। এর পর মীনা সিং নামের এক যৌনপল্লীর মালিকের কাছে ওই তরুণীকে বিক্রি করা হয়। এর পর মথুরাপুরের ওই তরুণীকে আগ্রার একটি যৌনপল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছিল। সেখানে তার উপর অত্যাচার চালানো হত। এক দিন এক খরিদ্দারের মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন করে নিজের অবস্থার কথা জানায় ওই তরুণী। এবং একটি নম্বর দিয়ে পুলিশকে জানাতে বলে। এর পর পুলিশকে জানানো হয়। এবং মোবাইল লোকেশনের সূত্র ধরে এ রাজ্যের পুলিশ পৌঁছে যায় আগ্রার ওই যৌনপল্লীতে। সেখানে গিয়ে ওই তরুণী-সহ এ রাজ্যের বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী। বিচারক মিনা সিং ও ফারুক আলি গায়েনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়েছে। এবং পিঙ্কিকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

Next Article