জয়নগর: ফের দুর্ঘটনার খবর রাজ্যসড়ক থেকে। অটো ও মোটর ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর জখম চারজন।
ঘটনাস্থান এক নম্বর রাজ্য সড়কের কুলপি রোড। সেখানেই ওই অটো এবং ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। যার জেরে গুরুতর জখম দুই যাত্রী।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গোচরণের দিক থেকে একটি অটো আসছিল। উল্টোদিক থেকে আসছিল যাত্রীবোঝাই একটি মোটর ভ্যান। দুটি গাড়ির গতি বেশি থাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় ভেঙেচুরে রাস্তা ধারেই উল্টে যায় অটোটি।
এই ঘটনায় অটোচালক ইব্রাহিম মিদ্দা সহ মোটর ভ্যান চালক ও আরও দুই যাত্রী রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। সংঘর্ষের শব্দ পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কার্যত রক্তাক্ত অবস্থায় ওই চার জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নিয়ে যায় জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মের হাট গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু তাদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের চারজনকেই কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয় চিকিৎসকেরা।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় দুর্ঘটনাস্থলে আসে জয়নগর থানার পুলিশ। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটলো তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে শুরু করেছে পুলিশ কর্মীরা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে চলে আসে জয়নগর থানার পুলিশ।
এদিকে, আজই কলকাতায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর উঠে আসে। নিয়মিত যে বাসে অফিসে যাতায়াত করেন, সেই বাসে ওঠার আগেই প্রাণ গেল এক ফুড কর্পোরেশনের কর্মীর। অন্য একটি বাস ভুল দিক দিয়ে এসে ওই মহিলাকে পিষে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার সকালে তারাতলা থানা এলাকায় তারাতলা রোডের জেস্টনের কাছে ঘটনাটি ঘটে।
বাস ওঠার সময় অন্য একটি বাস বাঁ দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে অসীমা হাতি (৫২) নামে ওই মহিলাকে। অসীমাদেবী ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার কর্মী ছিলেন। অসীমাদেবীর বাড়ি পর্ণশ্রী থানা এলাকার বিশালাক্ষ্মী তলায়। নিয়মিত জেস্টন থেকে জিঞ্জিরা বাজার অবধি ১২ সি বাসে যাতায়াত করতেন। এদিনও সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ অসীমাদেবী ও তাঁর বোন ১২ সি বাসে ওঠার জন্য জেস্টনের মোড়ে যান।
১২সি বাসে তাঁর বোন উঠেও পড়েন। বাসের পাদানিতে অসীমাদেবী সবেমাত্র পা ফেলতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎই একটি বাস বাঁ দিক থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান। বাসের চাকার পিষ্ট হন তিনি বলেই দাবি স্থানীয়দের। ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই পড়ে যান। ডান পা হাঁটুর নীচ থেকে একেবারে আলগা হয়ে যায়। রক্তে ভেসে যায় চারপাশ। স্থানীয়রাই খবর দেন থানায়। অসীমাদেবীকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় দু’টি বাস আটক করেছে পুলিশ। তবে চালকদের খোঁজ নেই।
আরও পড়ুন: TMC Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কোচবিহার, গুরুতর জখম দলেরই ১১,মৃত ১