
ভাঙড়: ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত এখনও কিনারা হল না হয়নি রেজ্জাক খুনের। তবে এসে গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। পুলিশের অনুমান পেশাদার সুপারি কিলার দিয়ে ভাঙরের তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খাঁ কে খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় সাহায্য করেছেন স্থানীয় এক বা একাধিক যুবক। পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের বক্তব্য, তথ্য-প্রমাণ সহ প্রকৃত খুনিকে গ্রেফতার করে কাঠগড়ায় তোলা হবে। কিন্তু সন্দেহের বশে কোনও নিরীহকে গ্রেফতার বা আটক করা হবে না।
উত্তর কাশিপুর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতর গুন্ডা দমন শাখা এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দুঁদে অফিসাররা এই ঘটনার তদন্ত করছে। পাশাপাশি ফরেন্সিক টিম যে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্জাকের বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল এখনও খুলতে পারেনি পুলিশ। সেই মোবাইলের মধ্যে কী আছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান মোবাইলটি চালু করা গেলে অনেক তথ্যই পুলিশের সামনে আসবে।
রেজ্জাক খুনের পর শুধু বিরোধীরা নয় পুলিশের আতশ কাচের তলায় তৃণমূলের নেতারাও। চালতা বেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী, বুথ স্তরের নেতা, চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য এমনকি ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ পুলিশের সন্দেহের তালিকার বাইরে নয় বলে জানা গিয়েছে। রেজ্জাকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক, লেনদেন এবং বিরোধ সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। রাজ্জাক খুন হওয়াতে রাজনৈতিক এবং আর্থিকভাবে কোন কোন নেতা লাভবান হতে পারেন সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দু’জন পঞ্চায়েত স্তরের নেতা ও সদস্যকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা।