দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাজির আগুনে গুরুতর আহত এক নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দাঁড়িয়া এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নাবালককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয় হালদার নামে ওই নাবালকের বাড়ি দক্ষিণ ঘোলা গ্রামে। গত মঙ্গলবার জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে দাঁড়িয়া গ্রামে দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ঘোলার বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও বাজি পোড়ানো উৎসব দেখার জন্য জামাইবাবু মহেশ্বর হালদার রেখে দেয় তাকে।
জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যা থেকেই দাঁড়িয়া গ্রামে চলছিল বিভিন্ন রকমের বাজি পোড়ানোর প্রতিযোগিতা। দিদির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে জয়ও বাড়ি পোড়ানো দেখতে এলাকার মাঠে যায়। রাত ১০টা নাগাদ হঠাৎই একটি বাজির আগুন ছিটকে এসে তাঁর পেটে লাগে। মারাত্মক জখম হয় সে।
জখম এতটাই গভীর যে পেটের ছাল উঠে আসে। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি ওই নাবালকের মা জয়ন্তী হালদার ও জামাইবাবু মহেশ্বর হালদার তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই গুরুতর জখম নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
জয়ের জামাইবাবু মহেশ্বর হালদারের কথায়, “অন্যান্য বছরের মতো এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছিল। মেলার মাঠেই চলছিল বাজি পোড়ানো প্রতিযোগিতা। আচমকা বাজির আগুন ঠিকরে গায়ে লাগে লাগে জয়ের। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে ও।” যদিও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, কেন এলাকায় বাজি পোড়ানোর আয়োজন করা হল।
চলতি বছরে করোনার কারণে উৎসবের মরসুমে একাধিক বিধি নিষেধ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও নানা কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে। পরিবেশবান্ধব বাজি ছাড়া অন্য কিছু পোড়ানোর ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ রয়েছে। অথচ সে সবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই একদল আনন্দে মেতেছেন প্রথম থেকেই। এদিনও তেমন ঘটনাই নজরে এল।
আরও পড়ুন: Elephant: ভরসন্ধ্যায় ৬৬টি হাতির দল রেললাইনে! একজন হন হন করে ছোটে, অন্যজনের দুলকি চাল, ভয়ঙ্কর কাণ্ড