বিতর্কে ইতি! হাফ প্যান্ট পরেই সোনারপুর পুরসভায় টিকাপ্রাপ্তি যুবকের
COVID Vaccination: গত শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ পুরসভা আয়োজিত টিকা শিবিরে টিকা নিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সঙ্গে তাঁর বয়স্ক মা-ও ছিলেন। অভিযোগ, কুপন থাকলেও তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁর পরনে হাফপ্যান্ট ছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে হাফ প্যান্ট পরেই সোনারপুর পুরসভা থেকে টিকা (COVID19 Vaccination) নিলেন ‘বিতর্কিত’ যুবক শীর্ষনাথ পণ্ডিত। বুধবার, রাজপুর- সোনারপুর পৌরসভার রানিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে তিনি টিকা নিলেন। এদিন দ্বিতীয় ডোজ় নেন ওই যুবক। টিকা পাওয়ার জন্য সাংবাদিকদেরও ধন্য়বাদ জানান তিনি।
শীর্ষনাথ নাম্নী ওই যুবক এদিন বলেন, “আমি টিকা পেয়ে খুবই খুশি। আগের দিন টিকা পাইনি। আমার বাবা শয্য়াশায়ী। মাও অসুস্থ। হাফপ্যান্ট পরে এসেছিলাম বলে টিকা পাইনি। তারপর এই সমস্ত ঘটনা সংবাদমাধ্য়মে প্রচার হতেই আজ টিকা পেয়েছি। টিকা পেয়ে আমি খুশি। আজ যাঁরা টিকা দিয়েছেন তাঁরাও খুব ভাল ব্যবহার করেছেন।”
গত শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ পুরসভা আয়োজিত টিকা (COVID19 Vaccination) শিবিরে টিকা নিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সঙ্গে তাঁর বয়স্ক মা-ও ছিলেন। অভিযোগ, কুপন থাকলেও তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁর পরনে হাফপ্যান্ট ছিল। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ পোশাক পরে আসার জন্যই তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করারও অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তারক্ষীরা কার্যত ওই যুবককে ডেকে বলেন, “‘ভিতরে গিয়ে দেখুন, নোটিস টাঙানো রয়েছে। দেখে চুপচাপ বাড়ি চলে যান। টিকা নিতে এলে হাফপ্যান্ট পরা যাবে না।’’ অনেক অনুরোধের পরে অবশ্য় এই যুবকের সঙ্গে থাকা বৃদ্ধাকে টিকা দেওয়া হয়েছিল।
যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান পল্লব দাস। তিনি বলেন, “এই ধরনের খবর পাইনি। পুরসভায় আধিকারিকদের দফতরে প্রবেশে এমন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও টিকাকরণের ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য় পদক্ষেপ করা হবে।” তারপরেই অবশ্য় টিকা পান শীর্ষনাথ।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বাইরে ঝোলানো পোশাক বিধি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। গেটের বাইরে সাঁটা কাগজে লেখা হয়েছিল, “পুরসভায় আসতে হলে পরতে হবে শালীন পোষাক।অশালীন বা দৃষ্টিকটূ পোষাক পরে পুরসভার কার্যালয়ে প্রবেশ করা যাবে না।”
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছিল, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার রাজপুর কার্যালয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন হাফপ্যান্ট পরে এসেছিলেন। তারপরই বিতর্ক তৈরি হয়। শুধু পুর কর্মীদেরই নয়, পরিষেবা নিতে আসা মহিলাদের নাকি তাতে অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে। সেকারণেই এই ফতোয়া। হ্যাফপ্যান্ট পরে আসা ব্যক্তিদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন গেটের দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা। এই ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরের দিনই যদিও ওই নোটিস সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, খানিক অলিখিতভাবেই সেই পোশাক-বিধি কার্যকর ছিল। আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার শিবিরেই তৃণমূল কাউন্সিলরকে চুলের মুঠি ধরে মারধর!