দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক বছর, দুই বছর নয়। টানা ১১ বছর। টানা ১১ বছর খোঁজ ছিল না বৃদ্ধ বাবার। মাথায় হাত পড়েছিল ছেলের। অবশেষে, উত্তর প্রদেশের (Uttar Prdesh) নিখোঁজ প্রৌঢ়ের খোঁজ মিলল কাকদ্বীপে। লখনৌয়ের সীতাপুরের বাসিন্দা বাষট্টি বছরের জব্বার বেগ গত এগারো বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও প্রৌঢ়ের কোন হদীশ মেলেনি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্তে নেমে কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ। অবশেষে হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে জব্বারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রবিবার বিকেলে বড় ছেলে ও ভাগ্না তাঁকে নিতে আসেন কাকদ্বীপ থানায়।
গত এগারো বছর আগে আত্মীয়ের বাড়ি গোরখপুর থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন জব্বার। ট্রেনে ও বাসে চেপে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে কখন যে কাকদ্বীপে চলে আসেন তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। বুঝবেন কীভাবে ? দিনের পর দিন ঠিক মতো খাওয়া, থাকা ও ঘুম না হওয়ায় অসুস্থ হয়ে একপ্রকার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন জব্বার। গত ২ তারিখ বুধবার সকালে কাকদ্বীপ স্টেশন চত্বর থেকে অসুস্থ জব্বরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতলে ভর্তি করেন। গত পাঁচদিনের টানা চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর নিজের পরিচয়ও দেন। তারপরই হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে পুলিশের তরফে প্রৌঢ়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া জব্বারের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ বছর আগে নিজের কর্মস্থলে কাজ করার সময়ে তড়িদাহত হন ওই প্রৌঢ়। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে। তারপর টানা দুই বছর পরিবারের লোকেরা জব্বারের চিকিৎসাও করান। কিন্তু লাভ হয়নি। পুরোপুরি সুস্থ হননি জব্বার।
আচমকাই ১১ বছর আগে হঠাৎ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান গোরখপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে কিছুদিন থাকার পরেই বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। থানা পুলিশ করেও কোনও লাভ হয়নি। সেই ঘটনার পর দীর্ঘ ১১ বছর কেটে গিয়েছে। সকলে একরকম ধরে নিয়েছিলেন হয়ত জব্বারের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই আশঙ্কা অবশেষে সত্যি হল না। দীর্ঘ ১১বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলে শামীম। চিন্তায় ঘুম উড়েছিল তাঁর। অবশেষে মিলেছে স্বস্তি। তবে সত্যিই জব্বার মানসিক ভারসাম্যহীন কি না কীভাবেই বা ১১ বছর ধরে পুরোপুরি নিখোঁজ হয়ে থাকলেন তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছেই। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক বছর, দুই বছর নয়। টানা ১১ বছর। টানা ১১ বছর খোঁজ ছিল না বৃদ্ধ বাবার। মাথায় হাত পড়েছিল ছেলের। অবশেষে, উত্তর প্রদেশের (Uttar Prdesh) নিখোঁজ প্রৌঢ়ের খোঁজ মিলল কাকদ্বীপে। লখনৌয়ের সীতাপুরের বাসিন্দা বাষট্টি বছরের জব্বার বেগ গত এগারো বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও প্রৌঢ়ের কোন হদীশ মেলেনি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্তে নেমে কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ। অবশেষে হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে জব্বারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রবিবার বিকেলে বড় ছেলে ও ভাগ্না তাঁকে নিতে আসেন কাকদ্বীপ থানায়।
গত এগারো বছর আগে আত্মীয়ের বাড়ি গোরখপুর থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন জব্বার। ট্রেনে ও বাসে চেপে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে কখন যে কাকদ্বীপে চলে আসেন তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। বুঝবেন কীভাবে ? দিনের পর দিন ঠিক মতো খাওয়া, থাকা ও ঘুম না হওয়ায় অসুস্থ হয়ে একপ্রকার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন জব্বার। গত ২ তারিখ বুধবার সকালে কাকদ্বীপ স্টেশন চত্বর থেকে অসুস্থ জব্বরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতলে ভর্তি করেন। গত পাঁচদিনের টানা চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর নিজের পরিচয়ও দেন। তারপরই হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে পুলিশের তরফে প্রৌঢ়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া জব্বারের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ বছর আগে নিজের কর্মস্থলে কাজ করার সময়ে তড়িদাহত হন ওই প্রৌঢ়। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে। তারপর টানা দুই বছর পরিবারের লোকেরা জব্বারের চিকিৎসাও করান। কিন্তু লাভ হয়নি। পুরোপুরি সুস্থ হননি জব্বার।
আচমকাই ১১ বছর আগে হঠাৎ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান গোরখপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে কিছুদিন থাকার পরেই বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। থানা পুলিশ করেও কোনও লাভ হয়নি। সেই ঘটনার পর দীর্ঘ ১১ বছর কেটে গিয়েছে। সকলে একরকম ধরে নিয়েছিলেন হয়ত জব্বারের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই আশঙ্কা অবশেষে সত্যি হল না। দীর্ঘ ১১বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলে শামীম। চিন্তায় ঘুম উড়েছিল তাঁর। অবশেষে মিলেছে স্বস্তি। তবে সত্যিই জব্বার মানসিক ভারসাম্যহীন কি না কীভাবেই বা ১১ বছর ধরে পুরোপুরি নিখোঁজ হয়ে থাকলেন তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছেই। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা