সাগর : দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী অশান্তির ঘটনায় এবার দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা এলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের বামনখালিতে যান তাঁরা। দিল্লির অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ সোহরাব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহরাব আদতে সাগরের বামনখালির বাসিন্দা। দিল্লি পুরনিগমের কর্মী ছিল সে। অভিযুক্তের বিষয়ে তথ্য তালাসের জন্যই রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসেন দিল্লি পুলিশের অফিসাররা। আজ দুপুর প্রায় দুটো নাগাদ বামনখালিতে এসে পৌঁছান তাঁরা। সেখানে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা যায়, সোহরাব দীর্ঘদিন আগে দিল্লিতে চলে গিয়েছিল। সোহরাবের বাবা চাকরি করতেন দিল্লিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছরে একবার করে আসতেন। মাসখানেক থাকতেন। এমনই বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে অভিযুক্তর বিষয়ে। সোহরাবের সম্পর্ক এ রাজ্য থেকে পাওয়া বিস্তারিত তথ্য জমা পড়বে জাহাঙ্গিরপুরী অশান্তির তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা পূর্ব মেদিনীপুরেও গিয়েছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়াতেও জাহাঙ্গিরপুরীর অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্তদের।
শেখ মুজিবর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “দিল্লিতে জাহাঙ্গিরপুরীতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিষয়ে প্রকৃত বিষয়টি তাঁরা জানতে এসেছেন। এরা বাংলাদেশী নাকি স্থানীয়, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। সোহরব দিল্লিতে থাকত। এখানে আসা যাওয়া ছিল।” দিল্লি পুলিশের অফিসাররা এখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেন। জানতে চান, এখানে তাদের কোনও আত্মীয় থাকেন কি না। এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশের অফিসারদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। শুধু জানিয়েছেন, কথা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে চাননি তদন্তকারী অফিসাররা।
এর আগে শনিবার দুপুরে মন্দিরবাজার থানার সেকেন্দারপুর গ্রামে তদন্তের জন্য গিয়েছিল দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। সেখানে মানোয়ারা বিবি নামে ওই মধ্যবয়স্ক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যায় দলটি। উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা পূর্ব মেদিনীপুরেও গিয়েছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়াতেও জাহাঙ্গিরপুরীর অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন : Fraudster arrested: আইপ্যাকে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, মোবাইলের টাওয়ার ধরেই গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক