Kultali: চোর সন্দেহে বাচ্চাদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, তৃণমূল নেতার নাম জড়াতেই ‘আজব’ সাফাই

Abhigyan Naskar | Edited By: Soumya Saha

Jun 05, 2023 | 10:31 PM

Kultali: মারধরের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, চুরির অভিযোগ ঘিরে এলাকায় জনরোষ তৈরি হয়েছিল এবং সেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচাতেই ওই যুবক ও নাবালকদের 'কয়েক ঘা' দিয়ে তিনি অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন। তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।

Kultali: চোর সন্দেহে বাচ্চাদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, তৃণমূল নেতার নাম জড়াতেই আজব সাফাই
কী বলছেন তৃণমূল নেতা?

Follow Us

কুলতলি: দোকানে চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক যুবক সহ তিন নাবালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে (Kultali)। শুধু মারধরই নয়, সেই সঙ্গে ওই যুবক ও নাবালকদের পরিবারের থেকে টাকা চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর এই গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজিজুল পিয়াদার বিরুদ্ধে। আজিজুল এলাকায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বারুইপুরে এসপি অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত যুবক ও নাবালকদের পরিবারের লোকেরা। এদিকে মারধরের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, চুরির অভিযোগ ঘিরে এলাকায় জনরোষ তৈরি হয়েছিল এবং সেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচাতেই ওই যুবক ও নাবালকদের ‘কয়েক ঘা’ দিয়ে তিনি অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন। তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।

জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত বুধবার। কুলতলি থানা এলাকার চুপড়িঝাড়ার রাধাবল্লভপুর গ্রামে একটি দোকানে চুরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ওই যুবক ও নাবালকদের বিরুদ্ধে। এরপরই আজিজুল পিয়াদা ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান। অভিযোগ সেই সময় ওই তৃণমূল নেতা চোর সন্দেহে পাকড়াও হওয়া ওই যুবক ও নাবালকদের বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনাস্থলের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি চোর সন্দেহ পাকড়াও হওয়া ওই যুবক ও নাবালকদের মোটা লাঠি জাতীয় একটি বস্তু দিয়ে মারধর করছেন। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতাও তাদের মারধর করেছেন।

ওই ঘটনার পর পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও আজিজুল পিয়াদা নামে ওই স্থানীয় তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে দোকান-ঘর ও গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছিল। তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেদিন ওই যুবক ও নাবালকরা চুরি করতে গেলে গ্রামবাসীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। অনেক লোক ভিড় করেন এবং তাদের মারধর করতে থাকে। সেই সময় আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাড়াতাড়ি তাদের উদ্ধার করে দোকানের ভিতর নিয়ে যাই। তারপর দুই-চার ঘা মেরে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিই।’

Next Article