কাকদ্বীপ: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital)। দুই সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। দুই পরিবারেরই অভিযোগ চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই পরিবারের তরফেই হাসপাতাল সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় এই বিষয়ে জানান, “দু’টি পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
মঙ্গলবার ওই দুই মৃত সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সন্তান হারানোর বুকফাটা কান্না। জানা গিয়েছে, সোমবার পাথরপ্রতিমার পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা মৌমিতা সামন্ত প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু সদ্যোজাতর জন্মের কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় তার। এদিকে কাকদ্বীপের ভুবননগরের বাসিন্দা সঙ্গীতা ভূঁইঞারও সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হয়। দুই পরিবারেরই অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতদের।
পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, নার্স ও চিকিৎসকরা ভাল আচরণ করেননি পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। পরিবারের বক্তব্য, গতকাল যে চিকিৎসক দেখেছিলেন, তিনি বলেছিলেন দ্রুত অপারেশন না করলে অঘটন ঘটতে পারে। সেই বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়েছিল এবং দ্রুত অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় বাচ্চার কান্নার শব্দও পাওয়া গিয়েছিল। এর কিছু সময় পর জানানো হয়, সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের প্রশ্ন, কেন আগে থেকে অপারেশেনের ব্যবস্থা করা হল না? ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে শোরগোল পড়ে যায় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে। বিষয়টি নিয়ে গ্রিভান্স সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলেও জানান পরিবারের লোকেরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার রাজ্যে একাধিক বার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। এবার কাকদ্বীপের হাসপাতালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে।