দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মা কাজের জন্য অধিকাংশ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকেন। এমনও হয় রাতে বাড়ি ফেরেন না। কাজের জায়গাতেই থেকে যান। অভিযোগ, সেই সুযোগে মেয়ের সঙ্গে নোংরা ব্যবহার করতেন সৎ বাবা। রীতিমতো শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন ষষ্ঠ শ্রেণির নাবালিকাকে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে ক্যানিং থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
অভিযোগ ক্যানিংয়ের ওই ব্যক্তিরও এর আগে একবার বিয়ে হয়। কিন্তু প্রথম স্ত্রী চলে যান। এরপরই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। এদিকে যাঁকে বিয়ে করেন, সেই মহিলাও স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পুরনো ঘর ছেড়ে নতুন সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাঁর একটি নাবালিকা মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে আসার সময় সেই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আসেন মা।
অভিযোগকারী ওই তরুণী জানান, বছর খানেক হল মায়ের নতুন সংসারে এসে থাকছে সে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ওই নাবালিকার অভিযোগ, ” বাবা আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে বাধ্য করেছে। হয়তো নিজের বাবা নয় বলেই এমনটা করতে পারল। উনি আমার সৎ বাবা। বহুদিন ধরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে ভয়ে প্রথমে মাকে কিছু বলিনি। পরে বাধ্য হই বলতে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আমরা মহিলা সমিতিতে গিয়েছিলাম। কথা ছিল ওরা গোটা বিষয়ের মিটমাট করিয়ে দেবে। ওদের সবটা বলি। এরপর সেখান থেকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।”
অন্যদিকে অভিযোগকারীর মায়ের দাবি, “আমি তো কিছুই জানতাম না। রাতে ছিলাম না। পরদিন সকালে এসে দেখি মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করেছে। ঘরের সবকিছু ভাঙা। রাতে আমাকে ফোন করে খুব ঝগড়া করেছিল। বলছিল, মেয়েকে যেন আমি ওই বাড়ি পাঠিয়ে দিই। আমিও পাল্টা বলি, মেয়ে বড় হচ্ছে, ওকে এ ভাবে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া যায় না। আমি ভেবেছিলাম মহিলা সমিতিতে জানালে হয়ত ভাল হবে। ওরা হয়ত ভয় দেখালে একটু ভাল হবে। মহিলা সমিতিতে যাইও। ওদের বললাম। বরকে ডেকে পাঠাল। আমরা বললাম সব কথা। তখন ওরা বলল, তোমার মেয়ের সঙ্গে বাবা খারাপ সম্পর্ক করেছে। মেয়েই সে কথা জানিয়েছে ওদের। ওরা বলছিল, ‘আমি নাকি সব জানি’। কিন্তু সত্যিই আমাকে কিছু বলেনি মেয়ে। ওরা থানায় নিয়ে গেল ওর বাবাকে। এরপরই তো এত ঘটনা।”
যদিও মেয়ে ও মায়ের এখন বক্তব্য, তারা অভিযোগ তুলে নিতে চায়। কারণ, আইনি পথে কোনও জটিলতায় ঢুকতে চাইছে না তারা। মেয়েটির বক্তব্য, সে এক বছর ধরে এই বাবার সঙ্গে থাকে। এদিকে প্রতিবেশীদের কারও কারও দাবি, ছোট থেকেই নাকি এই মেয়ে এই বাড়িতে রয়েছে। দু’পক্ষের কথা ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে মেয়েটির মা পিছু হঠতে চাইছেন কি না সে প্রশ্নও উঠেছে। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্য়ানিং থানার পুলিশ। আরও পড়ুন: পায়ের উপর নরম কিছু একটা লাগল, বোঝার আগেই দংশন! ছেলেকে বাঁচাতে বাবা যা করলেন