রায়দিঘি: ৮ মাস ধরে বকেয়া নিশ্চয়যানের বিল। বকেয়া চেয়ে ব্লক মেডিক্যাল হেল্থ অফিসার, জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ করে দিল মালিকরা। এই হাসপাতালে ১১টি নিশ্চয়যান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রসূতিরা। এদিন সকালে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে হাসপাতালে আনার আগেই বাড়িতেই প্রসব হয় এক মহিলার। পরে ইঞ্জিনভ্যানে চাপিয়ে প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
সমস্যায় পড়েছেন এলাকার আশাকর্মীরাও। এদিকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক মেডিক্যাল হেল্থ অফিসার সন্তু ঘোষ, বকেয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছেও বলে জানাচ্ছেন তিনি। ঘটনায় এক বিক্ষুব্ধ অ্য়াম্বুল্যান্স চালক বলছেন, “তেলের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। তারপরও ৮ টাকা প্রতি কিলোমিটারের দরেই আমরা পরিষেবা দিচ্ছিলাম। কিন্তু, আমাদের গত ৮ মাসের বকেয়া টাকা এখনও পাইনি।”
আর এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলছেন, “বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানোর পরেও আমাদের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। সে কারণে আমাদের বাজারে প্রচুর টাকা দেনা হয়ে গিয়েছে। তেলও কিনতে পারছি না।” অন্যদিকে এক আশাকর্মী বলছেন, “রাত-দিন সব সময় পরিষেবা পেয়েছি। কিন্তু, এখন তো ওরা যাবে না বলায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অনেক প্রসূতিকেই হাসপাতালে আনা বা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।”