Drinking Water: গরমের দাপট বাড়তেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট জয়নগরে, ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে

Drinking Water: এদিকে পিএইচই দফতর থেকে বাড়িতে বাড়িতে আর্সেনিকমুক্ত জলের লাইন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তা দিয়েও বর্তমানে কোনও জল আসছে না বলে অভিযোগ।

Drinking Water: গরমের দাপট বাড়তেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট জয়নগরে, ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে
ক্রমেই তীব্র হচ্ছে জলের সঙ্কট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2023 | 1:42 PM

জয়নগর: এপ্রিলের শুরু থেকেই দাপট বাড়াচ্ছে গরম। রোজই একটু একটু করে বাড়ছে সূর্যের তেজ। এরইমধ্যে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট ভুগছেন জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দারা। ওই এলাকায় প্রায় চারশোর বেশি পরিবারের বাস। আছে মাত্র একটি টিউবওয়েল। তাও প্রায় দেড় থেকে দু কিলোমিটার দূরে। কিন্তু, পানীয় জলের জন্য ওই ডিপ টিউবওয়েলের উপরই ভরসা করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। আরও একটি ডিপ টিউবওয়েল থাকলেও তার জল খাওয়ার অযোগ্য বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

এদিকে পিএইচই দফতর থেকে বাড়িতে বাড়িতে আর্সেনিকমুক্ত জলের লাইন দেওয়া হয়েছে। সেই কল থেকে আগে তিন টাইম জলও আসত। কিন্তু, ২ মাসের বেশি সময় ধরে সেই জল আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। যার জন্যে আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গ্রামের বাসিন্দা আনওয়ারা জমাদার বলেন, “আজ ২ মাসের বেশি সময় ধরে টাইম কলে জল পাচ্ছি না। খাওয়া-দাওয়া রান্নার অসুবিধা হচ্ছে। আর টিউবওয়েল থেকেও মাঝে মাঝে নোংরা জল বের হচ্ছে। শুধু জল নয় এখানে বিদ্যুতেরও সমস্যা আছে। জলের জন্য আমরা পঞ্চায়েতে জানালেও কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে গ্রামের কিছুটা দূরে  থাকা একটা পুকুর থেকে জল আনছি। তা দিয়ে রান্না হচ্ছে।”

রিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীর সর্দার বলেন, “এই বিষয়ে আগে কেউ লিখিতভাবে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ করেনি। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আসলে এখন গরমে টিউবওয়েলের লেয়ার অনেক জায়গায় কমে গিয়েছে সে কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে দেখব কী অবস্থা। প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। জলের জন্য পিএইচই দফতর, বিডিওকেও জানাচ্ছি। ভ্য়ানে করে যাতে জল নিয়ে গিয়ে মানুষকে আলাদা করে দেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য বলেছি।