মথুরাপুর: দুর্নীতির অভিযোগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার’ টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে রাজ্য সরকার সেই টাকা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ‘বাংলা আবাস যোজনার’ সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পঁচিশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়’-উপভোক্তাদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রায়দিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এফআইআর-এর (FIR) তালিকায় নাম আছে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মবেজুল গাজি, শ্বশুর খালেক গাজি ও তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোস্তাফা কয়ালের। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রায়দিঘি বিধানসভার নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপক তছরুপের অভিযোগ ওঠে এদের বিরুদ্ধে। এই তছরুপের বিরুদ্ধে দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টর দারস্থ হন স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দীপু বর। দীপু বরের জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে নেমে ২৭ জনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অন্যের বাড়ির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ২৭ জনের কাছে ১ লক্ষ ২০ হাজার করে টাকা ফেরতের নোটিস দেয় ব্লক প্রশাসন। পনেরো দিনের মধ্যে টাকা ফেরানোর নির্দেশ ছিল। কিন্তু এক বছর পরেও ৩০ লক্ষের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরত আসে। এই ঘটনায় অবশেষে গত সপ্তাহে বিডিও পঁচিশ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রায়দিঘি থানায়। বাকি দু’জন টাকা ফেরত দেওয়ায় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেছেন,”আদালতের নির্দেশে প্রশাসন ব্যবাস্থা নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে কাউকে আড়াল করা হবে না। তবে সরকারি কর্মচারিদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার।” বিডিও নাজির হোসেন বলেন,”বেশ কয়েকবার নোটিস দিয়েছি। কয়েকজন টাকা ফেরত দিয়েছে। বাদ বাকি কেউ কেউ অল্প অল্প টাকা দিয়েছে। যাঁরা টাকা ফেরত দিতে পারেনি তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।”