
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি।’ নিজের মুখে আগেই বলেছিলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা নিউটন দাস। আর এবার তাঁর তৃণমূল যোগ আরও স্পষ্ট হল। বাংলাদেশের বাসিন্দা তথা কাকদ্বীপের এই ভোটার নিউটন দাসকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব দাসের। অর্থাৎ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলল তৃণমূলই! অভিযোগ এক সময় সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস দাস এই নিউটনকে জামিন করানোর জন্য গিয়েছিলেন বনগাঁয়। সেই ছবি ভাইরাল হতেই দেবাশিসের দাবি, “অনেকে অনেক কিছু বলবে আমি গায়ে মাখি না।”
২০২১ সালের অক্টোবরে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে গ্রেফতার হয়েছিলেন নিউটন। তাঁর কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল। তবে তাঁর কাছ থেকে মেলে এদেশের ভোটারকার্ড, প্যানকার্ড ও আধারকার্ড। বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে কী করে ভারতীয় আধারকার্ড,প্যানকার্ড,ভোটারকার্ড এল তা নিয়ে সন্দেহ হতেই পুলিশ নিউটনকে গ্রেফতার করে।
এরপর প্রায় তিন মাস জেলে থাকার পর ছাড়া পায় নিউটন। বিপ্লববাবুর অভিযোগ এইসময় নিউটনকে জামিন করানোর জন্য টিএমসিপি নেতা দেবাশিস দাস একাধিকবার বনগাঁ গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে জামিন হওয়ার পর নিউটন আবারও কাকদ্বীপে চলে আসেন। দেবাশিস দাস, নিউটন ও এক পার্টনার নিয়ে শুরু করেন রেস্তোরাঁর ব্যবসা। পরে ব্যবসা বন্ধের সময় ব্যবসার অংশীদার হরিপদ দাসের থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় নিউটন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব দাস বলেন, “এক সময় দেবাশিস দাস মিটিংয়ে ডাকলে আমরা যেতাম। সেই সময়ই দেখেছি নিউটন দাস ওর সঙ্গে ছিলেন। ওর সঙ্গে আসতে। মিটিং-মিছিল করতেন। দেবাশিসের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল বলেই মনে হচ্ছে। নিউটনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে গ্রেফতার হয়। ৯০ দিন জেল খাটে। সেই সময় দেবাশিস গিয়েছিল তাঁকে ছাড়াতে।”
তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, “আমার নামে অভিযোগ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বলার প্রয়োজন মনে করি না। আর কাকদ্বীপ বিধানসভায় ২০০ থেকে ৩০০ সদস্য রয়েছেন, কোথাকার কোন সদস্য আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলল তা নিয়ে কিছু বলার থাকে না। আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে থানায় কেস করুক। আর যদি ছবি থাকে এগুলো নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলবে আমি গায়ে মাখি না।”