
বারুইপুর: বারুইপুর পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যানের ২ টি এপিক কার্ড ও ২ টি SIR ফর্ম! আর তা নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বারুইপুর পৌরসভার চার বারের চেয়ারম্যানের নামেই দু’দুটো এপিক কার্ড। যে কারণে এসআইআর ফর্ম এল দুটো।ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ,পৌরসভার চেয়ারম্যান যদি দু-দুটো এপিক কার্ড করে রাখেন,একই বুথে। তাহলে আরও কোথায় কত কার্ড এই ভাবে বানানো আছে, কে জানে।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তম কর নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, যাতে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বারুইপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান শক্তি রায় চৌধুরী বলেন, “এর পিছনে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত রয়েছে। আমাকে ও আমার দলকে বদনাম করার জন্যই দু-দুটি এপিক কার্ড করেছে বিজেপি।”
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তিনি যে এপিক কার্ড ব্যবহার করেন, সেই সিরিয়াল নাম্বারে তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েরও এসআইআ-এর এনুমারেশন ফর্ম এসেছে। তাঁর কাছে একটিই এনুমারেশন ফর্ম আছে। তিনি তা পূরণও করে রেখেছেন বলে জানান। তাঁর দাবি, তাঁর নামে দুটো ভোটার কার্ড এবং দুটো এনুমারেশন ফর্ম নেই।
যদিও বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার ১৪১ নম্বর পার্টের বিএলও ছবি মন্ডল দাস জানিয়েছেন, তাঁর কাছে বারুইপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায় চৌধুরীর নামে দু-দুটো এস আই আর ফর্ম এসেছে। তিনি শক্তি রায়চৌধুরীর হাতে একটি ফর্ম দিয়েছেন এবং অপরটি তিনি ডবল লিখে রেখে দিয়েছেন ফেরত দিয়ে দেওয়ার জন্য। বারুইপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, দুটো ভোটার কার্ড নিয়ে শক্তি রায়চৌধুরী বা বারুইপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের কোনও দোষ নেই, সম্পূর্ণটাই নির্বাচন কমিশনের গাফিলতি।