বাসন্তী: বাসন্তীতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের সামনেই গণপিটুনির অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি আহত যুবক। অভিযোগ খারাপ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করায় এই শাস্তি তাঁকে দেওয়া হয়েছে। চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় রবিউল মোল্লা নামে ওই যুবককে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে খারাপ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করেছিল রবিউল মোল্লা নামের এক যুবক। অভিযোগ সেই কারণে স্থানীয় ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শুভঙ্কর দাসের মদতে কয়েকজন যুবক তুলে আনে। আক্রান্তের দাবি, তিনি স্থানীয় শিবগঞ্জ বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই মারধরের ঘটনায় গুরুতর জখম হন রবিউল। তাঁর মাথায় ও পায়ে আঘাত লাগে। আক্রান্ত রবিউল বলেন, “আমায় তুলে নিয়ে এসে মেরেছে। প্রায় সাত আটজন মিলে মেরেছে। চায়ের দোকানে বসেছিলাম। আসলে এখানকার রাস্তা খারাপ হয়েছিল বলে জানিয়েছিলাম। সেই রাগে মেরেছে।”
যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পঞ্চায়েত সদস্য শুভঙ্কর দাস। পাল্টা তাঁর দাবি, সাবির আলি সর্দার নামে এক ব্যক্তির দোকানে ভোর রাতে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন এই রবিউল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এলাকার মানুষজন অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। শুভঙ্কর বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভুল। কয়েকদিন ধরেই মদ খেয়ে মাতলামো করছিল। যাকে তাকে হুমকি দিচ্ছিল। কয়েকজন ছেলেকেও মারধর করেছে। এরপর এই দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।”