দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতার বাড়ির লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রায় ১২ রাউন্ড মতন গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর এখনও তাজা বোমা পড়ে আছে এলাকায়। ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামের ঘটনা। তৃণমূল নেতা ফজলে করিমের বাড়ির লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
গুলির আওয়াজ শুনে খাটের নীচে ঢুকে যায় ফজলে করিম। সকালে উঠে দেখেন, দরজা জানালার পাশাপাশি খাটের একাধিক জায়গাতে গুলির দাগ রয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙড় থানার বিশাল বাহিনী রাতেই ফজলে করিমের বাড়িতে গিয়ে গুলির খোল উদ্ধার করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে বলে দাবি তৃণমূল নেতার। জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এই ফজলে করিম। তাই তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা। বুধবার সকালেও তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে গুলির খোল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। এখনও পর্যন্ত বোমা উদ্ধার হয়নি। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা বলেন, “কাইজার একের পর এক অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি মুখ খুলেছিলাম। আমি সৎ নেতা। তাই এই হামলা।”
আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসেছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম বলেন, “নিশ্চিতভাবে দল সিদ্ধান্ত নেবে। প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে। দুষ্কৃতী হামলার নিন্দা করছি। যারা দোষী, তারা নিশ্চিত শাস্তি পাবে।” কাইজার যে দলের কর্মী, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। কাইজারের বিরুদ্ধে যে এলাকাবাসীদের ক্ষোভ রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন। তবে এটাও বলেছেন, “এখনই মুখ খুলতে পারছি না।” এলাকার তৃণমূল নেতা আক্রান্ত, অভিযোগের তির এলাকারই দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই। রাজ্য কমিটির নেতা আক্রান্তের পাশে বসেই বলছেন, “এ বিষয়ে এখন মুখ খুলতে পারব না।” যদিও অভিযুক্ত কাইজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এখনও।