
বারুইপুর: তখন গভীর রাত। তিন-চারজন ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর একজন মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারছেন। শুধু মার নয়, পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনই সিসিটিভি একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছে বিজেপি। তবে এর সত্যতা টিভি ৯ বাংলা যাচাই করেনি। পদ্মশিবিরের দাবি, তৃণমূল কর্মীরা এভাবেই খুন করেছে তাঁদের কর্মীকে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সিসিটিভিতে যে বিজেপি কর্মীকে মারতে দেখা যাচ্ছে সেখানে সেই সময় উপস্থিত রয়েছেন ছেলেটির বাবা ও দাদা। তাঁরা না মারলেও, দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে সবটা দেখলেন তাঁরা।
কী ঘটেছে?
সম্প্রতি, বারুইপুরে বিজেপির বুথ সভাপতি বছর বাইশের রাজীব বিশ্বাসকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন রাজীব। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ৮ অগস্ট রাতে রাজীব তাঁর নিজের বাড়িতেই নিগৃহীত হয়েছিলেন। এরপর তাঁকে বাড়িতেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাজীবের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নাম উঠে আসে মৃতের বাবা নিতাই বিশ্বাস ও ছোট ভাই সন্দীপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বারুইপুর পশ্চিম এক নম্বর মণ্ডল বিজেপির সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর অভিযোগ মৃতের বাবা ও ছোট ভাই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁদেরও। যদিও, বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেন,”এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটা পারাবিরিক বিষয় বলে শুনেছি।”
এরপর আজ অর্থাৎ শনিবার সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে নিয়ে আসে বিজেপি। তারা দাবি করতে থাকে এটা পরিবারিক বিবাদ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা নয়। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটার মধ্যে তৃণমূল কোথা থেকে এল? যে কোনও খুন নিয়ে রাজনীতি করা বিজেপির চরিত্র।” বিজেপি নেতা শঙ্খুদেব পণ্ডা বলেন, “হিংস্রতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে দেখুন। দেখুন পেট্রোল দিচ্ছে। জ্বালিয়ে দিচ্ছে।”